• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা, ২১ বছর পর গ্রেপ্তার আসামি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২, ০২:৫২ পিএম
স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা, ২১ বছর পর গ্রেপ্তার আসামি

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে স্ত্রীকে পুড়ায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. আলমকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সাজা থেকে বাঁচতে দীর্ঘ ২১ বছর লুকিয়ে ছিলেন তিনি।

শনিবার (১৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বংশাল এলাকায় র‍্যাব-৪-এর একটি দল আলমকে গ্রেপ্তার করে।

রোববার (১৪ আগস্ট) বেলা ১২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৪-এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।

অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক জানান, ২০০১ সালের জুন মাসে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানাধীন আটিপাড়া গ্রামের মো. মকবুল হোসেনের মেয়ে আম্বিয়া বেগমকে (১৮) পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন আলম। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য প্রায়ই আম্বিয়া বেগমকে মারধর করতেন তিনি। একপর্যায়ে আলম স্ত্রীর পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন।

এ পর্যায়ে আম্বিয়া বেগমের বাবা ১০ হাজার টাক দেন। কিন্তু যৌতুকের বাকি টাকার জন্য আলম নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন। এক পর্যায়ে আলম স্ত্রীকে মারধর করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

র‌্যাব-৪-এর সিও জানান, ২০০১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে আলম শ্বশুরবাড়ি এসে স্ত্রী বাইরে ডেকে নিয়ে মারধর করতে থাকেন। এর এক পর্যায়ে আম্বিয়া বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন আলম স্ত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে আম্বিয়া বেগমকে উদ্ধার করে সিংগাইরের সেবা ক্লিনিকে নিয়ে যান তার স্বজনরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আম্বিয়া বেগম বিস্তারিত ঘটনা স্বজনদের জানান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ৭ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা মো. মকবুল হোসেন বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় আলম, আলমের বাবা মো. রহিজ উদ্দিন, মা আলেয়া বেগম, আলমের ভগ্নিপতি রবিউল, আলমের চাচাতো নানা আফতাবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।

আলম সম্পর্কে যা জানালো র‍্যাব

আলম চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। তিনি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। ব্যক্তিগত জীবনে ২টি বিয়ে করেছে। আম্বিয়া তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন। প্রথম স্ত্রীকে হত্যার ৫ বছর পর ঢাকার বংশাল এলাকায় নিজের নাম ঠিকানা গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী সুমীকে (৩৫) নিয়ে ঢাকার টিকাটুলি এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। ২০০১ সালের পর থেকে তিনি কোনোদিন মানিকগঞ্জে যায়নি।

গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।

Link copied!