• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চাল-তেল-পেঁয়াজ-মাংসের দামে ক্ষুব্ধ মানুষ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২২, ০৩:২৮ পিএম
চাল-তেল-পেঁয়াজ-মাংসের দামে ক্ষুব্ধ মানুষ

কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে ভোজ্যতেলের সঙ্গে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, মাছ-মাংসসহ সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম লাফিয়ে বেড়ে চলছে। এতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ ক্ষুব্ধ। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারের সব ধরনের পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, যা আজ ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির সঙ্গে পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়েছে বাজারগুলোতে। গত সপ্তাহে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এখন ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। বাজারগুলোতে দেখা গেছে, সব ধরনের পণ্য চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। আর শীত চলে যাওয়ায় বাড়তে শুরু করেছে সবজির দামও।

সবজি বাজার

শীত শেষ হতে না হতেই প্রতিযোগিতা দিয়ে দাম বাড়ছে সবজির। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা করে, আজ তা ৪৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি, করলা কেজি ৯০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা করে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে।

bazar

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য

মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছরে দেশে অন্তত আট দফায় তেলের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে ক্রয়ক্ষমতা হারাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিযোগিতা চলছে। ভোজ্যতেল খোলা সয়াবিন তেল ১৪৩ টাকা লিটার, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে মসুর ডালের। দেশি চিকন মসুর ডাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা আর মোটা ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। 

চালের বাজারে অস্থিরতা শুরু দেখা গেছে। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি, মিনিকেট ৭০ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৭৫ কেজি, আতপ চাল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি। 

মুরগি 

রাজধানীর এই দুই বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগি ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকা কেজি। আর সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিমও গত সপ্তাহের মতো ১১৫ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। আর হাঁসের ডিম ডজন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা।

মাংস

শুক্রবার গরু ও খাসির মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়। সে হিসেবে আজ গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬২০ টাকা আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা করে। গরুর কলিজা বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। 

 

মাছবাজার

রাজধানীর মাছবাজারগুলোতে তেলের দামের ছোঁয়া আসতে শুরু করেছে। মাছবাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। দেশি শিং ও টেংরা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা করে। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। আইড় মাছ কেজি ১২০০ টাকা, পাবদার কেজি ৫৫০ টাকা, কই ২৫০ টাকা কেজি, চিংড়ি ৭০০ টাকা কেজি, রূপচাঁদা মাছ কেজি প্রতি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

ফলের বাজার

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো ফলের বাজারেও উত্তাপ দেখা যায়। কারওয়ান বাজারে আপেল মানভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি, মাল্টা ১৮০ টাকা কেজি, আঙুর মানভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি, কলা ডজন প্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বরই প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, ড্রাগন ফল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি ও কমলা প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

Link copied!