• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শীতেও ক্রেতার ঘাম ঝরাচ্ছে দ্রব্যমূল্য


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২১, ০১:০৮ পিএম
শীতেও ক্রেতার ঘাম ঝরাচ্ছে দ্রব্যমূল্য

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা তিন দিন বৃষ্টির পর জেঁকে বসেছে শীত। তবে রাজধানীর বাজারগুলোতে শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে এই ঠান্ডা অনুভূতির মধ্যেও ঘাম ঝরছে ক্রেতাদের। শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও দাম কমেনি কোনো কিছুর। উল্টো দাম বেড়েছে মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন বিভিন্ন সবজিতে সয়লাব গোটা বাজার। মাছ, মাংস, ডিমেরও সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত। আছে ক্রেতার ভিড়। শুধু পণ্যের দাম নিয়ে সন্তোষ নেই তাদের মনে।

সবজি বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, প্রতি আঁটি পেঁয়াজের কলি ৪০ টাকা, প্রতি কেজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ১০০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, কচুর মুখী ৪০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মটরশুঁটি ১৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, নতুন আলু ৪০ টাকা, পুরান আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

এছাড়া দেশি আদা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, চায়না ১২০ টাকা, দেশি রসুন ৭০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পালংশাক প্রতি আঁটি ১০ টাকা, লালশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা, মেথির শাক ১০ টাকা এবং লাউশাক ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতাদের দাবি, তেলের দাম বাড়ায় পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়েছে। তাই শীতকালীন সবজিতে বাজার সয়লাব থাকলেও দাম একটু বেশি। কয়েক দিন পর সবজির দাম আরেকটু কমবে বলে আশা তাদের।

ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা ইচ্ছা করে বাড়তি মুনাফা করছেন। প্রতিবছর এই সময় সবজির দাম থাকে একেবারে হাতের নাগালে। এবার সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া।

মইনুল হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, “অন্যান্য বছর শীতকালে সবজির দাম থাকে ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। এবার কোনো সবজির দাম ৩০ টাকার নিচে নেই। কোনো কোনোটির দাম তো ১৫০ টাকাও ছাড়িয়ে গেছে।”

শুধু শাকসবজি নয়, মুরগি ও ডিমের দামও বাড়তি। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি ২৮০ টাকা, সাদা কক ২৬০ টাকা, লেয়ার ২৫০ টাকা। অথচ গত সপ্তাহে প্রতিটি জাতের মুরগির দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা কম ছিল। বর্তমানে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়।

দাম বাড়ার বিষয়ে মুরগি বিক্রেতারা জানান, শীতকালে মুরগির উৎপাদন একটু কম হয়। এবারও উৎপাদন কম। কিন্তু ক্রেতার চাহিদা রয়েছে। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় দাম একটু বেশি।

এদিকে প্রতি হালি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৬০ টাকা।

অস্বস্তি চালের বাজারেও। গত সপ্তাহের তুলনায় দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে প্রতি কেজি চালের দাম। বর্তমানে মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা ৪৫ টাকা এবং আটাশ ৪৮ টাকা।

চালের দাম বাড়ার জন্য জ্বালানি তেল ও গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিকেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা।

আগের মতোই আছে ভোজ্যতেলের দাম। বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা এবং পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। এছাড়া পুষ্টি ব্র্যান্ডের ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৭১০ টাকা, বসুন্ধরা ৭১০ টাকা এবং রূপচাঁদা ৭৩০ টাকা।

Link copied!