চট্টগ্রামে পাঁচ বছরের শিশু আয়াতকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আবীর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় সাত দিন রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিম এ আদেশ দেন।
দুই দিন হেফাজতের পর এদিন আবীরকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)।
আদালতে বাদী পক্ষের আইনজীবী সেলিম উল্যাহ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তবে আবীরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এর আগে শনিবার পিবিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবীরকে দুদিনের জন্য পুলিশের হেফাজতে পাঠান আদালত।
আয়াতদের বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া ছিলেন অভিযুক্ত আবীর। তিনি বর্তমানে আকমল আলী সড়কে মায়ের সঙ্গে বসবাস করেন।
এর আগে ১৫ নভেম্বর নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পাশের মসজিদে আরবি বিষয় পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আয়াত। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আয়াতের বাবা সোহেল রানা।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা বলেন, “মুক্তিপণ দাবির উদ্দেশ্যে আয়াতকে অপহরণ করেন তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবীর আলী। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাকে (আবীর) বৃহস্পতিবার রাতে আটক করা হয়। হত্যার কথা স্বীকার করেছেন আবীর।”
নাঈমা সুলতানা আরও বলেন, “আবির জানিয়েছেন, মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে তিনি অপহরণের চেষ্টা করেন। এসময় চিৎকার করলে আয়াতকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আবীর। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করেন। পরে খণ্ডিত মরদেহ দুটি ব্যাগে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় সাগরে ফেলে দেন।”
আপনার মতামত লিখুন :