• ঢাকা
  • শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মুহররম ১৪৪৬

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন নিয়ে হুঁশিয়ারি হেফাজতের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন নিয়ে হুঁশিয়ারি হেফাজতের
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লোগো। ফাইল ফটো

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশারের কার্যালয়ের মিশন স্থাপনের লক্ষ্যে করা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। অবিলম্বে এই সমঝোতা বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সংগঠনটির আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

এতে বলা হয়, দেশের ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামি দলগুলোর টানা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও উদ্বেগ সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন চুক্তিতে সই করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নাগরিকদের মতামত ও উদ্বেগ উপেক্ষা করে কোনো স্পর্শকাতর ইস্যুতে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না সরকার। অবিলম্বে এ চুক্তি বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। মার্কিন স্বার্থে তাঁবেদার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস এদেশে হতে দেওয়া যায় না। এটা এদেশের ওলামায়ে কেরামের নীতিগত সিদ্ধান্ত।

বিবৃতি বলা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস সাধারণত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতেই দেখা যায়। সেই অফিস এখন আমাদের দেশে হওয়াটা সম্মানজনক নয়। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধপীড়িত দেশ না হওয়া সত্ত্বেও এখানে তাদের অফিস করতে চাওয়াটা রহস্যজনক। এ ছাড়া জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস এদেশে কোনো দরকার নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সময় নষ্ট না করে জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা।

রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজত নেতাদের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বলেন, “২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে নিরীহ আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষের গণজমায়েতের ওপর সংঘটিত বর্বর গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন আজ পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি। এ ছাড়া ফ্যাসিস্ট হাসিনার কথিত জঙ্গি নাটকসংশ্লিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কখনো তারা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। আমেরিকা ও ভারত সুযোগ করে না দিলে এদেশে রাষ্ট্র কর্তৃক কখনো কথিত জঙ্গিবাদ দমনের নামে আলেম-ওলামা ও ইসলামপন্থীদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটাতে পারত না।”

Link copied!