রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক জটিলতা হঠাৎ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বর্তমানে হাসপাতালের সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন বলে হাসপাতাল সূত্র শনিবার (২৯ নভেম্বর) ভোরে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে। তার অবস্থা খারাপ হওয়ার খবর পেয়ে রাত থেকেই হাসপাতালে ভিড় করছেন বিএনপি নেতারা, কর্মীরা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
শুক্রবার রাত থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। রাত সাড়ে ১১টার পর হাসপাতালে পৌঁছান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পরিস্থিতিকে সংকটাপন্ন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল দেশবাসীর কাছে বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য দোয়া কামনা করেন।
রাত ২টার দিকে হাসপাতালে যান স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি জানান, খালেদা জিয়া জ্ঞানে থাকলেও তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল নয় এবং সার্বিকভাবে অত্যন্ত নাজুক।
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলও গভীর রাতে হাসপাতালে গিয়ে বেরিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতার কথা জানান। তিনি দেশবাসীর কাছে তাঁর জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন। একই সময়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার হালনাগাদ জানার জন্য শুক্রবার রাত থেকেই হাসপাতালের বাইরে বিভিন্ন টেলিভিশন ও অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিকরা অবস্থান করছেন। চিকিৎসক এবং বিএনপি নেতাদের ব্রিফিংয়ের ভিত্তিতে সার্বক্ষণিক খবর প্রচার করছেন তাঁরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া চেয়েছেন এবং তাঁর চিকিৎসায় যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় প্রত্যেক ধরনের সহায়তা দিতে সরকার প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
এদিকে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার মানবিক উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি লেখেন, “গণতন্ত্রের এই উত্তরণের সময়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
