• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ঢাকার শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চীবর দানানুষ্ঠান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৯:৩৫ পিএম
ঢাকার শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারে  অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চীবর দানানুষ্ঠান
ছবি : সংবাদ প্রকাশ

ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবাগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকায় কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে পূজণীয় ভিক্ষু সংঘকে দান করা হয়েছে কঠিন চীবর (বস্ত্র)।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) পার্বত্য বৌদ্ধ সংঘ ও শাক্যমুনি বিহার পরিচালনা কমিটির যৌথ উদ্যোগে মিরপুর শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারে ৩৫তম কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন যে সকল ভিক্ষু তিন মাসের বর্ষাব্রত অধিষ্ঠান সাফল্যজনকভাবে সমাপ্ত করেছেন, সেসব পূণ্যপূত ও মহান গুণসম্পন্ন ভিক্ষু সংঘকে কঠিন চীবর দান করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বুনন পদ্ধতিতে বেইন বুনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চীবর তৈরি করে উপ-সংঘরাজ ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাথের ভান্তের সভাপতিত্বে পূজণীয় ভিক্ষু সংঘকে সেই কঠিন চীবর দান করা হয়েছে।

জানা যায়, কঠিন চীবর দান উৎসব মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি ধর্মীয় আচার ও উৎসব। এই উৎসব বাংলা বর্ষপঞ্জির আশ্বিন মাসের পুর্ণিমা তিথির এক মাসের মধ্যে সুবিধাজনক যেকোনো সময়ে পালন করা হয়। এ দিন  বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পূণ্যে অর্জন এবং পরিবারের মঙ্গল কামনায় ভিক্ষুদের চীবর বা বস্ত্র দান করেন। এসব বস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দোয়াজিক, অন্তর্বাস, চীবর ও কটিবন্ধনী। ধর্মীয়রীতি অনুযায়ী এসব বস্ত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা প্রস্তুত করে তারপরে বস্ত্র তৈরি করা হয়। এসব বস্ত্র ত্রিচীবর নামেও পরিচিতি।

এদিকে, অনুষ্ঠানটি উদযাপন উপলক্ষে একটি ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বহু বিদগ্ধ ও প্রজ্ঞা ভিক্ষু সংঘের সদস্যবৃন্দ এবং পাহাড় ও সমতল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট বৌদ্ধ মনীষী ও রাজধানীর সদ্ধর্ম পিপাসু বৌদ্ধ দায়ক-দায়িকারা।

উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী চীবর দানানুষ্ঠান শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টায় বিশ্বশান্তি কামনায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।

Link copied!