বেসিক ব্যাংকের অর্থ পাচারে দুদকের করা ৫৬ মামলার তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে সংস্থাটির বিরুদ্ধে হাইকোর্ট ‘যথাযথ আইনি পদক্ষেপ’ নেবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বেসিক ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার ব্যবস্থাপক আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আসামি মোহাম্মদ আলীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম আবুল হোসেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান আর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানিতে অংশ নেন।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বেসিক ব্যাংকের অর্থ পাচারের মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানির সময় দেশের ব্যাংকগুলোতে অর্থ কেলেঙ্কারির বিষয়ে দুদকের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
ওই দিন আদালত বলেন, “সব ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। আমরা কি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব? এটা কি হয়? এসব অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে দুদক যা করছে, তাতে মনে হয়—আমরা যেন নাটক দেখছি। নাটক দেখে হাততালি ছাড়া আর তো কিছু দেওয়ার নেই। হয় হাততালি দিতে হবে, না হয় বসে থাকতে হবে।”
বেসিক ব্যাংকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ৫৬টি মামলা করে দুদক। দীর্ঘদিন ধরে মামলাগুলোর তদন্ত চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :