• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

এক কেজি শিমের দামে ৫ কেজি পেঁপে


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২২, ১১:০৪ এএম
এক কেজি শিমের দামে ৫ কেজি পেঁপে

প্রকৃতিতে শীতের আমেজ বইতে শুরু করেছে। এই সময় বাজারে থাকে নানা রকম সবজি, যা দামেও থাকে কম। এ বছর পরিস্থিতি ভিন্ন। বাজারে এখনো তেমন সবজির সমাহার দেখা যায়নি। দামও বেশ চড়া। কিন্তু সবকিছুর মূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি রয়েছে পেঁপের দামে। গত সপ্তাহে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে ১ কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।

খুচরা বাজারগুলোতে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁপে ১৫-২০ টাকা করে, শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, আলু ২৫-৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০-৭০ টাকা, শিম ১০০-১২০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা ও কাঁকরোল ৬০ টাকা করে করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও ফুলকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা নূর হোসেন বলেন, “সবজির বাজারে কোনো সরকারি মনিটরিং নেই। যে যেমন পারছেন, দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। আমরা খুচরা বেচি। পাইকারিতেই যদি বাড়তি দাম কিনতে হয়, তাহলে তো লোকসান করে খুচরায় সবজি বিক্রি করা যায় না।”

অন্যদিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫-১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বেড়েছে সোনালি ও লেয়ার মুরগির দাম। সোনালি ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে লেয়ার ২৮০ টাকা, সোনালি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হতো।

শফিউল আলম বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী সেলিম রেজা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “মুরগির বাড়তি দাম অনেক দিন ধরে একই অবস্থায় আছে। দেখা যায় এক সপ্তাহ ১০ টাকা কমে আবার পরের সপ্তাহে বেড়ে আগের মতো সমান হয়ে যায়। অন্যান্য মাংসের দাম বেশি হওয়ায় বাজারে মুরগির মাংসের চাহিদা কমেনি।”

এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির ডিমের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে হাঁসের ডিমের দাম। প্রতি ডজন মুরগির ডিম (লাল) বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম বেড়ে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা হয়েছে।

প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৮ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৮ টাকা। ভোজ্যতেলের মতো চিনির বাজারেও দেখা দিয়েছে সংকট। দফায় দফায় দাম বাড়ার পর এবার বাজার থেকে একরকম ‘উধাও’ চিনি। দু-একটি দোকানে মিললেও প্রতি কেজি কিনতে গুনতে হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। আবার কোনো কোনো দোকানি শুধু চিনি বিক্রি করতে চাইছেন না, অন্য পণ্য কেনার শর্তে বেচছেন চিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ব্যবসায়ী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “গাড়ি ভাড়া, লেবারসহ অন্যান্য খরচ মিলে প্রতি কেজির দাম পড়েছে ১০৪ টাকা। সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে প্রতি কেজিতে আমার ১৪ টাকা লস হবে। আমি তো আর লস করে কিছু বিক্রি করতে পারব না। তাই  বেশি দামে চিনি বিক্রি করতে হচ্ছে।”

বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০, তেলাপিয়া ১৬০-১৮০, রকমভেদে চিংড়ি ৭৫০-১০০০, রুই ৪০০-৫০০ টাকায়।

মাছের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। শীতকালে বিবাহ ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান বেশি হওয়ায় এই বাজারে প্রভাব পড়েছে। প্রতি কেজি খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কিছুদিন আগে বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকায়। খাসির মাংসের দাম বাড়লেও গরুর মাংস আগের দাম ৭০০ টাকা কেজিতেই বিক্রি হচ্ছে।

Link copied!