• ঢাকা
  • সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

‘আ. লীগ রাজপথে নামলে অন্যদের খুঁজে পাওয়া যাবে না’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ০৬:০৮ পিএম
‘আ. লীগ রাজপথে নামলে অন্যদের খুঁজে পাওয়া যাবে না’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “আওয়ামী লীগ রাজপথে নামলে অন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। আমরা যদি আজকে আমাদের নেতা-কর্মীদের সারা দেশে রাজপথে নামার জন্য ঘোষণা দিই, তখন অন্য কাউকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি আওয়ামী লীগকে রাস্তায় পরীক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, এ বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা রাজপথে যুদ্ধ করতে চাই না, আমাদের কর্মীদের সংযত হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। আর বিএনপি তো রাজপথেই আছে এবং রাজপথে থাকতে গিয়ে তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে রাজপথের গাছপালা পর্যন্ত উপড়ে ফেলেছে, পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেছে। আমরা চাই তারা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করুক, এতে সরকারের পুলিশ প্রশাসনসহ সবাই তাদের সহযোগিতা করবে এবং করছে।”

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “কিন্তু বিএনপি আসলে চায় একটা সাংঘর্ষিক রাজনীতি। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ করা, মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষ করা। তারা চায় যাতে আরও প্রাণহানি ঘটে। আমি কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখেছি, যদিও এখনো চূড়ান্ত হয়নি কিন্তু অনেকেই বলেছে মুন্সিগঞ্জে যে ছেলেটি মারা গেছে, সে তাদেরই ইটের আঘাতে মারা গেছে।”

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “বিএনপি যখন সমাবেশ করতে গিয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে, নিজেরা সমাবেশ পণ্ড করে, যখন পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করে, জনগণের সম্পত্তির ওপর হামলা পরিচালনা করে ভাঙচুর করে, অগ্নিসংযোগ করে, তখন জনগণ তাদের প্রতিহত অতীতেও করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। আর জনগণের সঙ্গে যদি আমাদের নেতা-কর্মীরা থাকে বিএনপি পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। তাদের এই ‘খালি কলসি বাজে বেশি’ ধরনের হুমকি-ধমকি প্রায় সাড়ে ১৩ বছর ধরে শুনে আসছি। দেশে শান্তি, স্থিতি রক্ষা সরকারের দায়িত্ব। সেটি বজায় রাখতে সরকার যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, সেটি অত্যন্ত সংযতভাবে সব সময় করে আসছে।”

নির্বাচন উপলক্ষে রাজনীতি সরব হয়ে উঠছে, এমন প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচনের আগে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অতীতের তুলনায় বেশি সরব হবে, এটিই স্বাভাবিক এবং এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চারই অংশ। সুতরাং গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা করে কেউ যদি আন্দোলন করে, সরকারের সমালোচনা করে, সরকারের বিরুদ্ধে বলে, তাতে কোনো আপত্তি নেই। সেটি করতে গিয়ে যদি সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে সেখানেই বিপত্তি।”

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর চলমান যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর এই সফরটি এখন পর্যন্ত অত্যন্ত সফল। তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষাৎ হয়েছে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। অনেক দেশের সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আগামী ২ তারিখ সেখান থেকে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। আসার পর তিনি সবিস্তার বলবেন, তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে অত্যন্ত সফল একটা সফর হচ্ছে এবং এ কারণে যারা বিদেশিদের কাছে বারবার ধর্না দেয়, তাদের চেহারাটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।”
 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!