চিকিৎসকরা সবচেয়ে বেশি মাদক গ্রহণ করেন মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি আরও বলেন, “নেশা করে মাদক নেন চিকিৎসক, সাংবাদিক, ইঞ্জিনিয়ার ও আমরাও নিয়ে থাকি। চিকিৎসকরা মাদক নেবে না, এমন তো কথা নেই। তারা তো আলাদা জাতি না। দু-একজন পথভ্রষ্ট হতে পারে।”
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘মাদকাসক্তি নিরাময়ে বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব বলেন।
সাংবাদিক, পুলিশ ও বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই (সরবরাহ) করেন বলে মন্তব্য করেছেন আসাদুজ্জামান খান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যারা করেন তাদের সবাইকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসি। কেউ বাদ যায় না।”
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “আপনি জেলখানায় গিয়ে দেখুন, মাদকের মামলায় পুলিশের সদস্য যেমন আছেন, র্যাব সদস্যও আছেন, তেমনি অন্য ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন। পুলিশ বলে তার জন্য আইন আলাদা হবে, বিষয়টি এমন নয়।”
পুলিশে যারা মাদক নেয়, তদের ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে তাকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। এই জায়গাটাতে আমরা খুব কঠিন অবস্থানে চলে আসছি।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “চাকরির শুরুতে যারা সিলেক্টেড হবে, তাদের ডোপ টেস্ট করার প্রচলন পুরোপুরি নিতে যাচ্ছি।”
পুলিশ-বিজিবি সব জায়গায় ডোপ টেস্টের প্রচলন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হচ্ছে কি না, সেখানেও মনে হলে আমরা ডোপ টেস্ট করব।”
































