বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অর্জন, প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জসহ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনাকালে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “আগামীতে ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল এবং হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক অবদান রাখবে। হাইড্রোজেন পলিসি বিনির্মাণে এবং জ্বালানি ইলেকট্রিক ভেহিক্যালের জন্য অংশীজনদের আগ্রহী করাতে বিশ্বব্যাংক অবদান রাখতে পারে।”
সভায় অন্যান্যের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক জুয়ানজেইহ চেইন ও ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ধানদান চেইন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটকে মানসম্পন্ন ও আন্তর্জাতিকমানের করতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা কামনা করে নসরুল হামিদ বলেন, “সক্ষমতা বৃদ্ধি, বায়ু বিদ্যুৎ, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ সময় নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ক্যাপটিভ পাওয়ার, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট, সোলার ইরিগেশন পাম্প, লিথিয়াম ব্যাটারি, জলবিদ্যুৎ, আঞ্চলিক পাওয়ার ট্রেড, নেট মিটারিং ও রুফটপ সোলার, গ্রিন বিল্ডিং, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি দক্ষ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার, তেল রিফাইনারি, ল্যান্ড বেজড এলএনজি টার্মিনাল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।”
প্রতিমন্ত্রী এ সময় প্রকল্পের অর্থায়নে অযথা সময়ক্ষেপণ না করতে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করেন।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে পারায় আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, “দক্ষতা উন্নয়ন, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সঞ্চালনের ওপর ফোকাস খুবই আশাব্যাঞ্জক। নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণ এবং সম্ভাবনার নতুন নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণ বাংলাদেশকে উজ্জ্বলতর করছে।”
দক্ষতা বৃদ্ধি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পাওয়ার ট্রেড সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এ সময় বিশ্বব্যাংক আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি।
গ্যাস মিটার সংক্রান্ত দুটি প্রকল্প বিশ্বব্যাংকে অনুমোদিত হয়েছে যা ২০২৩ সালের জানুয়ারি হতে শুরু হবে। বিদ্যুৎ খাতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৬টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।



































