বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। ‘বর্তমান বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তান অনেক ভালো ছিল’ -মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল প্রমাণ করেছেন তিনি পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী উল্লেখ করে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, “এ কথার মধ্যদিয়ে তিনি ৩০ লাখ শহীদকে অপমানিত করেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করেছেন। বাংলাদেশে পাকিস্তানের আদর্শের রাজনীতি করা যাবে না। নিঃশর্ত ক্ষমা চান, আর না হলে দেশের জনগণ আপনার পাকিস্তান প্রীতির জবাব রাজপথে দিবে।”
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সূত্রাপুর থানা ও ৪২, ৪৩ ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমরা কাউকে বাধা দেই না জানিয়ে হানিফ বলেন, “আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাধা দেয় না। বিএনপি বলে আওয়ামী লীগ তাদের কর্মসূচিতে নাকি বাধা দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা না দেওয়ার জন্য। কেউ আন্দোলনের নামে রাজপথে জ্বালাও-পোড়াও করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিবে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দিকে কেউ চড়াও হলে আমাদের দায়িত্ব আছে। আপনি আক্রমণ করবেন আর আমাদের চুপচাপ বসে থাকা সমীচীন হবে না।”
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেরা মারামারি করে আওয়ামী লীগের দোষ দেয়। গত কয়েকদিনে চট্টগ্রাম, বরিশাল, গাজীপুর এবং আজকেও পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেরা মারামারি করেছেন। মিথ্যাচার, অভিযোগের রাজনীতি বন্ধ করুন।”
আওয়ামী লীগ খুনের রাজনীতি করে না জানিয়ে তিনি বলেন, “এসব অভ্যাস আপনাদের আছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তাদের শাসনামলে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি নেতারা বনানীতে লাইট পোস্টের নিচে মোমবাতি প্রজ্বলন করে তামাশা করছেন। লাইটের আলোর নিচে হারিকেন জ্বালিয়ে নাটক করছেন। এসব তামাশা মানুষ পছন্দ করে না, উল্টো ক্ষুদ্ধ হয়। বনানীতে কেউ একজন জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিল। স্লোগান শুনে বিএনপি নেতারা হুড়মুড় করে দৌঁড় দিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। আসলে জয় বাংলা স্লোগান শুনলে তাদের হৃদয়ে কম্পন শুরু হয়।”



































