‘যুক্তরাজ্যে জাহাজ রপ্তানি বড় অর্জন’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ০৬:২২ পিএম
‘যুক্তরাজ্যে জাহাজ রপ্তানি বড় অর্জন’

আনন্দ শিপইয়ার্ডে নির্মিত জাহাজ যুক্তরাজ্যে রপ্তানি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন বলে দাবি করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি আরও বলেন, “জাহাজ নির্মাণ সেক্টরও দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত।”

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেড নির্মিত অত্যাধুনিক মাল্টিপারপাস কন্টেইনার জাহাজ যুক্তরাজ্যের কোম্পানির কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে এখন সমীহ করার নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ফ্রিগেট থেকে শুরু করে সবধরণের জাহাজ নির্মাণে সক্ষমতা অর্জন করেছে।”

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। এ ঐতিহ্যকে আমরা ধরে রাখতে পারিনি। ধরে রাখতে পারলে বিশ্বে জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা এক অথবা দুই নম্বরে থাকতাম।”

‘বাংলাদেশ থেকে আমরা জাহাজ রফতানি করতে সক্ষম হয়েছি’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “জাহাজ নির্মাণের সূতিকাগার ইংল্যান্ডে জাহাজ রপ্তানি একটি বড় অর্জন।”

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “শিপইয়ার্ডগুলো জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান- শিপইয়ার্ডগুলো উঠে আসুক, আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখুক। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপের ফলে মৃতপ্রায় সরকারি ডকইয়ার্ড ও শিপইয়ার্ডগুলো নৌবাহিনীর হাতে দেওয়ায় সেগুলো এগিয়ে যাচ্ছে।”

জাহাজ নির্মাণ সেক্টরের বিরাট সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মোংলা বন্দরের মেইন জেটিতে আট মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের আপগ্রেডশন, বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজ চলমান। প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে উদ্বোধন করবেন।”

আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস, এক্সপোর্ট, বন্ড ও আইটি) হোসেইন আহমদ, নৌপরিবহন অদিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহেল বারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাহাজটির ধারণক্ষমতা ৬১ হাজার ডেড ওয়েট টন (ডিডব্লিউটি)। জাহাজটি মাল্টিপারপাস হওয়ার কারণে ভারী স্টিলের কয়েল, খাদ্যশস্য, কাঠ এবং কন্টেইনারের পাশাপাশি বিপজ্জনক দ্রব্যাদিও বহন করতে পারবে। বাল্টিক সমুদ্রে চার ফুট বরফ আচ্ছাদিত অবস্থায় চলতে পারবে। এটি যুক্তরাজ্যের এনজিয়ান শিপিং কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আনন্দ শিপইয়ার্ড ২০০৮ সালে প্রথম ডেনমার্কে জাহাজ রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য জাহাজ রফতানির স্বর্ণদ্বার উন্মোচন করে। আনন্দ শিপইয়ার্ড এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ক্রেতার কাছে ৩৫৬টি জাহাজ নির্মাণ করে সরবরাহ করেছে।
 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!