নির্বাচন বর্জন করে কোনো লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, “২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে তামাশা করায় সম্মানজনক আসন পায়নি বিএনপি। এবার নির্বাচিনে না এলে তারা পালানোর পথ পাবে না। বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। নির্বাচন ও গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন করা যায়। গণ-আন্দোলনের মুরোদ নেই, তাই বলব নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনই সমাধান।”
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ মিলনায়তনে বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, “সিটি করপোরেশন নির্বাচন তারা অত্যন্ত গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে তারা সেই রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ করেছে। বিএনপি এবং তাদের সঙ্গে কিছু ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী মিলে শুরু থেকে নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় আছে।”
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, “২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত আমরা দেখেছি। ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায়। আমরা আর এই সরকারে যাব না।”
তিনি বলেন, “তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের ভারতীয় এজেন্ট বলে আখ্যায়িত করেছিল। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছে, তখনো বিএনপি বলেছে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ফেনী পর্যন্ত ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। আমাদের নেত্রী এখন ভারত সফরে। এ নিয়েও তারা মিথ্যাচার করেছে। অথচ দেখেন, ছিটমহল, ফারাক্কাসহ সব চুক্তিই আওয়ামী লীগের আমলে হয়েছে।”
চলমান সংকটের বর্ণনা দিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, “বিশ্বের অনেক দেশ আজ আর্থিক টানাপোড়েনে। তার একটু ছায়া বাংলাদেশে পড়বেই। অথচ বিএনপি সব বিষয় নিয়েই মিথ্যাচার করছে। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, বিদ্যুৎ-সংকট এগুলো সারা বিশ্বের সমস্যা। এটা একটা সাময়িক পরিস্থিতি।”
































