নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ম মেনেই অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশের সরকার প্রধান চারদিনের সফরে ভারতের মাটিতে পা রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে সঠিক প্রোটোকল দেওয়া হয়নি বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। তবে সরকারি পর্যায় থেকে প্রোটোকলে কোনো কমতি হয়নি বলেই দাবি করা হচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সর্বোচ্চ সম্মান দেখানো হয়েছে।
২০১৭ সালে দিল্লি বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলে, ভারতের প্রোটোকল বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, “দুই প্রধানমন্ত্রীর আমলে সেটা ছিল দিল্লিতে শেখ হাসিনার প্রথম সফর, তার একটা অন্যরকম ব্যঞ্জনা ছিল বলেই প্রোটোকল ভেঙে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।”
প্রোটোকল বিভাগের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “এমন নয় যে এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অভ্যর্থনায় কোনো ত্রুটি হয়েছে বা প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে না গিয়ে অতিথিকে কোনো অমর্যাদা করেছেন।”
২০১৭ থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনবার ভারত সফরে গেলেন।
২০১৭ সালের প্রথম সফরে নয়াদিল্লির বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ও সংগীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়কে (আসানসোল আসন থেকে নির্বাচিত বিজেপির সংসদ সদস্য)। তবে অনেকটাই ব্যক্তিগত হৃদ্যতার খাতিরে সেবার শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন।
২০১৯ সালের অক্টোবরে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো ভারত সফরে যান। সেসময় দেশটির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত বিজেপির সংসদ সদস্য দেবশ্রী চৌধুরী বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানানোর দায়িত্ব পান।
এ বছর, তৃতীয় সফরে বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ভারতের কেন্দ্রীয় রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ (গুজরাটের সুরাট থেকে নির্বাচিত বিজেপির সংসদ সদস্য)।






























