ডেঙ্গুর ঊর্ধ্বগতি দেশ জুড়ে, রাজধানী ঢাকায় এর মাত্রা বেশি। রাজধানীতে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তদের মধ্য শিশুদের সংখ্যা বেশি।
সাধারণ মানুষের সচেতনতা আর এডিস মশার বিস্তার রোধে সিটি কর্পোরেশনের কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীর হাসপাতালগুলো ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি বেশি ভাগ রোগী জ্বর আক্রান্ত। তাদের মধ্যে অনেকেই ডেঙ্গু। ১ জানুয়ারি থেকে চলতি মাসের সোমবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮২০ জন। এ বছর এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১৯ জন।
মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম (৪০)। হঠাৎ জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরীক্ষা করে জানতে পারেন তার ডেঙ্গু হয়েছে।
আবুল কাশেম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “হঠাৎ করে গত তিন থেকে জ্বর। কোনোভাবেই জ্বর কমছে না। পরীক্ষার পর জানতে পারি ডেঙ্গু।”
ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ে ডা. লেলিন চৌধুরী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “সাধারণত আমাদের দেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। এসময় ডেঙ্গুর প্রকোপ যাতে বাড়তে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিটি কর্পোরেশন যথাযথ পদক্ষেপ নিলে তা মোকাবিলা সম্ভব। পাশাপাশি জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে।”
অন্যদিকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. মো. জোবায়দুর রহমানের সঙ্গে।
জোবায়দুর রহমান বলেন, “সিটি কর্পোরেশন যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আমাদের সম্মানিত নাগরিকদের দায়িত্ব নিতে হবে।”
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সূত্রে জানা যায়, সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪৫৪ জন রোগী ভর্তি আছে। এরমধ্যে ঢাকাতেই ৩৯২ জন। বাকি ৬২ জন ঢাকার বাইরে অন্য বিভাগে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৪৮০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। ছাড়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৭ জন।






























