ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিটি আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গমাতা: এ প্যারাগন অব উইমেন লিডারশিপ অ্যান্ড ন্যাশন-বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুইদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাবির নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের প্রতিটি সংগ্রামের ঢাবির অবদান রয়েছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিটি আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল ঢাবি। স্বাধীনতা পরবর্তী সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধেও এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছিল।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি পরতে ঢাবির অবদান দেখি। দেশের সব উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ঢাবি। তাই সাবেক শিক্ষার্থী হিসাবে আমি গর্ববোধ করি।”
সরকার প্রধান বলেন, “জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারি (১৯৯৬ সাল) ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেকে ঘোষণা দিলেন দ্বিতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী। তখন যে ভোট চুরির প্রতিবাদে আন্দোলন হয়েছিল সেটাও কিন্তু ঢাবি থেকে শুরু হয়েছিল।”
শেখ হাসিনা বলেন, “১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ আন্দোলনের মুখে মাত্র দেড় মাস ক্ষমতায় থেকে ভোট চুরির দায় নিয়ে খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। ২০০৭ সালের এক এগারোর সরকার তিন মাসের জন্য সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলেও পরে ক্ষমতা ছাড়তে চায়নি। তখনো প্রতিবাদ করে ঢাবি এবং নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম শুরু করে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কথা সাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।


































