অমর একুশে বইমেলা দর্শনার্থীদের পদচারণায় জমজমাট। এখনও মেলায় বই বিক্রির সংখ্যা আশানুরূপ নয়, ক্রেতার চেয়ে ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যাই বেশি বলে মনে করেন বিক্রেতারা।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার নবম দিন। দুপুর ২টায় দর্শনার্থীদের প্রবেশপথ উন্মুক্ত করা হয়। বইপ্রেমী, পাঠক, লেখক ও দর্শনার্থীরা বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই মেলায় প্রবেশ করেন।
এবার দিন যত যাচ্ছে বইমেলায় আগতদের সংখ্যা বাড়ছে। দর্শনার্থীরা সংখ্যা বাড়লেই বই বিক্রির পরিমান বাড়ছে না। মেলা প্রাঙ্গণে ঘোরাঘুরি আর চা-কফি-ফুচকা খেয়ে সময় কাটাচ্ছেন অনেকেই। এক স্টল থেকে অন্য স্টলে ঘোরাঘুরিতেও মজা নিচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তবে প্রথমদিকে বই না কিনলেও আস্তে আস্তে বিক্রি বাড়বে বলে আশাবাদী প্রকাশকরা।
ব্যাংকার আনিকা সুলতানা অফিস শেষে বইমেলায় এসেছেন। আনিকা বলেন, “বইমেলায় আসতে খুব ভালো লাগে, তাই অফিস শেষ করে প্রায়ই মেলায় আসি।”
মেলায় বই কেনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “যদিও এখনও বইমেলা তেমনভাবে জমে উঠেনি, অনেক বই এখনও আসেনি। আরও বই আসলে তখন কেনা যাবে। এখন বই দেখি, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেই ও চা-কফি পান করি পরে চলে যাই।
আনিকা সুলতানা আরও বলেন, “অনেক আগের অভ্যাস বইমেলায় নিয়মিত আসার। সেই অভ্যাসের কারণেই মেলায় আসা। আমার পছন্দের কবির বইয়ের অপেক্ষায় আছি।”
বিদ্যা প্রকাশের বিক্রয়কর্মী বলেন, “বইমেলায় প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন। তবে ক্রেতার সংখ্যা বা বই বিক্রির সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। আরও কিছুদিন সময় লাগবে। দর্শনার্থী আসছেন এটা ঠিক, করোনার সময় মনে করে যেমন ভয় পেয়েছিলাম কিন্তু সেই তুলনায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বেশি। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।”
জাগতিক প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী বলেন, “প্রতিদিনের মতো আজও মেলায় পাঠক, বইপ্রেমী ও দর্শনার্থীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। মেলায় বিকেলের পর থেকে অনেকেই এসেছেন দল বেঁধে, অনেকেই এসেছেন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে, কেউবা পরিবার-পরিজন কিংবা প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে। মা-বাবার সঙ্গে হাত ধরে মেলায় এসেছে শিশুরা। এবার বইমেলার প্রথম দিন থেকেই দর্শনার্থীর সমাগম বেশি। তবে সবাই বই কিনছেন না-কেবল দেখছেন। মেলা প্রাঙ্গণে চা-কফি-ফুচকা খেয়ে সময় কাটাচ্ছেন অনেকেই।”
এদিকে বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, আজ মোট ১২২টি নতুন বইমেলায় এসেছে। এছাড়া গত ৯ দিনে বইমেলায় ৮৮৭টি নতুন বই এসেছে।