• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস আজ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২২, ০১:৫৯ পিএম
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস আজ

আজ ২২ শ্রাবণ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৩৪৮ সনের এই দিনে তিনি মারা (পরলোকগমন) যান। বরাবরের মতো এ বছরও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হবে। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ মে (বাংলা ১২৬৮ সালের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মা সারদাসুন্দরী দেবী। বর্ণাঢ্য কর্ম জীবনের অধিকারী বিশ্বকবি মারা যান ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (বাংলা ১৩৪৮ সনের ২২ শ্রাবণ)।

মহাকালের চেনা পথ ধরে প্রতিবছর ২২ শ্রাবণ আসে। এই ২২ শ্রাবণ বিশ্বব্যাপী রবি-ভক্তদের কাছে একটি শূন্য দিন। রবীন্দ্র কাব্যসাহিত্যের বিশাল একটি অংশে যে পরমার্থের সন্ধান করেছিলেন, সেই পরমার্থের সঙ্গে তিনি লীন হয়েছিলেন এদিন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি জাতির দিকনির্দেশক এক আলোকবর্তিকা। বাঙালির প্রাত্যহিক জীবনের সবকিছুর সঙ্গেই একটু একটু করে মিশে আছেন রবীন্দ্রনাথ। গত দেড় শতাব্দী ধরে বাঙালির মানসপটে তার দাপুটে অবস্থান। তাঁকে বাদ দিয়ে বাঙালির চিন্তার ভূগোল, ভাবের প্রকাশ, রস আস্বাদন—কিছুই সম্ভব না। বাঙালি সত্তায় রবীন্দ্রনাথ সদা জাগ্রত। বাঙালি জীবনে যত ভাব-বৈচিত্র্যের সমারোহ, তার পুরোটাই তিনি ধারণ করেছেন তার গল্প, কবিতা, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, গান, স্মৃতিকথা ও দর্শনে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, সংগীতজ্ঞ, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, ভাষাবিদ ও চিত্রশিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য প্রতিভার উন্মেষ ঘটে শৈশবেই। মাত্র আট বছর বয়সে তার লেখালেখির হাতেখড়ি। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় তার প্রথম লেখা কবিতা ‘অভিলাষ’ প্রকাশিত হয়। এরপর এই লেখালেখি চলে বিরামহীন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রকাশিত কবিতার বই ৫২টি, উপন্যাস ১৩টি, ছোটগল্পের বই ৯৫টি, প্রবন্ধ ও গদ্যগ্রন্থ ৩৬টি এবং নাটকের বই ৩৮টি। কবির মৃত্যুর পর ৩৬ খণ্ডে ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া, ১৯ খণ্ডের রয়েছে ‘রবীন্দ্র চিঠিপত্র’।

১৯১০ সালে প্রকাশিত হয় তার গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
 

Link copied!