• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মেলার দ্বিতীয় দিনেও শেষ হয়নি স্টল সাজানোর কাজ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ০৯:৪৪ পিএম
মেলার দ্বিতীয় দিনেও শেষ হয়নি স্টল সাজানোর কাজ

মাসব্যাপী ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২৩’ এর উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিনেও স্টল সাজানোর কাজ এখনো শেষ হয়নি। মেলার বেশ কয়েকটি স্টলে টুকটুক শব্দে কাজ করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ স্টল গুছিয়ে বই বিক্রি শুরু করলেও অনেকে এখনো স্টল সাজানোর কাজ করছেন। তবে এর মধ্য দিয়েই পাঠক ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় জমে উঠতে শুরু করেছে এবারের গ্রন্থমেলা।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টা থেকে মেলা প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করে পাঠক ও দর্শনার্থীরা। উদ্বোধনী দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

রাজ কিশোর বিশ্বাস দেশের বাইরে থাকেন। মেলা উপলক্ষে দেশে ফিরে স্ত্রীকে নিয়ে মেলায় এসেছেন। সংবাদ প্রকাশকে রাজ কিশোর বলেন, “করোনার পর ভাষার মাসের শুরুতেই বইমেলা বেশ ভাল লাগছে। তাছাড়া মেলাও বেশ গোছানো মনে হচ্ছে। শরৎচন্দ্রের বই বেশ ভাল লাগে। তার অনেক বই পড়েছি। মেলা থেকে তার আর কিছু বই সংগ্রহের ইচ্ছে রয়েছে।”

এবারের বইমেলার বিন্যাসের প্রশংসা করেন নবান্ন প্রকাশনীর উপদেষ্টা ড. আমিনুর রহমান সুলতান। তিনি বলেন, “দু-ধারে স্টল ও মাঝখানে প্যাভিলিয়ন অনেকটা নদীর মতো লাগছে। স্টলগুলো নদীর পাড়ের মতো দেখাচ্ছে। এবার আশা করা যাচ্ছে, ভালো বিক্রি হবে। এখনো অনেক স্টলের কাজ শেষ হয়নি। এরপরও দ্বিতীয় দিনে অনেক পাঠক ও দর্শনার্থী মেলায় এসেছেন।”

বইয়ের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে বিশ্ব সাহিত্য ভবনের প্রকাশক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “কাগজের দাম বৃদ্ধি পেলেও বইয়ের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হয়েছে। বইপ্রেমী পাঠকদের সামান্য এ মূল্য বৃদ্ধি খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। আশা রাখি এবারের বইমেলাতে ভাল বিক্রি হবে।”

নন্দিতা প্রকাশনের বিক্রয়কর্মী আরিফুল ইসলাম বলেন, “প্রথম দিনের তুলনায় আজকে ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করি মেলাজুড়ে ভাল বিক্রি হবে।”

মেলার দ্বিতীয় দিনে ২১টি নতুন বই এসেছে। এরমধ্যে আত্মজীবনী ২টি, অনুবাদ ১টি, প্রবন্ধ ৩টি, বিশ্লেষণমূলক ২টি, গবেষণামূলক ১টি, উপন্যাস ১টি, স্মারকগ্রন্থ ২টি, সমাজবিজ্ঞান ১টি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ১টি, জীববিজ্ঞান ৩টি, নাটক ১টি, জীবনী ১টি, নাটক ১টি, কাব্যগ্রন্থ ২টি ও সাহিত্য সমালোচনা ১টি।

বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত বেলা তিনটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে।

এবারের মেলায় ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি মাঠে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মাসব্যাপী এই আয়োজনে সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। নিরাপত্তার জন্য মেলা এলাকাজুড়ে  তিন শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Link copied!