বিয়ে সামাজিক রীতিনীতির একটি অংশ। দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকার মনস্থ করলে তারা সামাজিক স্বীকৃতি পায় বিয়ের মাধ্যমে। সমাজের ক্ষুদ্রতম একক পরিবার গঠনের স্বীকৃত পদ্ধতি হচ্ছে বিয়ে। একেক দেশে বিয়ের ধরন বা রীতি একেক রকমের। এর মধ্যে একাধিক বিয়ের রীতিও রয়েছে।
একাধিক বিয়ে কেউ করেন সামাজিক নিয়মে আবার কেউ করেন শখে। তবে যেভাবেই হোক একাধিক বিয়ের ঘটনা হয়ে উঠে আলোচনার বিষয়বস্তু। এবারও তাই হলো যুক্তরাষ্ট্রের মোনেট্টে নাম এক নারীর ক্ষেত্রেও। ৫২ বছরে ১১টি বিয়ে করে আলোচনায় এসেছেন মোনেট্টে। খবরে বলা হচ্ছে, ইতোমধ্যে ১২ নম্বর বিয়ের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন এই নারী।
যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মোনেট্টে পেশায় একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। হাইস্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই তার প্রথম বিয়ে হয়। এরপর দীর্ঘ ৫২ বছরে ১১টি বিয়ে সেরেছেন এই নারী।
মোনোট্টের একাধিক বিয়ের খবর নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই শুরু হয় আলোচনা। কেন একের পর বিয়ে করছেন এর কারণও নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন মোনেট্টে।
মোনেট্টে জানান, তার প্রথম বিয়ে হয় দাদার এক বন্ধুর সঙ্গে। হাইস্কুল পাশের পরই তারা বিয়ে করেন। এরপর থেকে তিনি ১১ জনকে বিয়ে করেছেন। কারণ কোনো বিয়েই বেশিদিন টেকেনি। তবে একা থাকতে চান না তিনি। তাই ১২তম বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মোনেট্টে আরও বলেন, ‘আমার বয়স ৫২। এখন পর্যন্ত ২৮ জনের প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছি। আমার হবু স্বামীর বর্তমান বয়স ৫৭। তার নাম জন। গত দুই বছর ধরে প্রেম করছি। তারও এর আগে দুই বার বিয়ে করেছেন।
প্রতিটি বিয়েই তার কাছে মূল্যবান ছিল বলে জানান মোনেট্টা। তবে তার মতে, সেরা স্বামী ছিলেন পঞ্চম স্বামী। ষষ্ঠ স্বামীকেও ভুলতে পারেননি এই নারী। অষ্টম স্বামীর সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় হয় তার। আর দশম স্বামী ছিল তার স্কুল বন্ধু।
বিয়ের কারণ জানিয়ে মোনেট্টে বলেন, ”আমি এমন এক খ্রিস্টান পরিবারে বড় হয়েছি, যেখানে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নেওয়া হয় না। তাই যাকে ভালো লেগেছে তাকে পাওয়ার জন্য একাধিকবার বিয়ে করেছি। এটি মোটেও খারাপ বিষয় নয়।“
সূত্র: সিএনএন