‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’—নারীদের প্রসঙ্গে এই কথা একদমই মানিয়ে যায়। সবকিছু সামলে নিয়ে নারীরা নিজের রূপেরও যত্ন নেয়। নিজেকে উপস্থাপন করে সাবলীলভাবে। আর এর মধ্যেই তাদের রুচির প্রকাশ ঘটে। পোশাকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হেয়ার স্টাইলও বলে দেয় মানুষটির ব্যক্তিত্ব কেমন হবে। যারা চুল বাঁধার বিষয়ে অনেকটাই যত্নশীল তারা তো নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতেই পারছেন। কিন্তু যারা এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না কীভাবে, কোন হেয়ার স্টাইল বেছে নেবেন বা কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন তারা একটু নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারেন।
পোশাক, চলাফেরা, মেকআপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের হেয়ার স্টাইলও সাজিয়ে নিন। কারণ মনে রাখবেন, এসবই আপনার রুচির পরিচয় দেবে। তাই বিশেষ কিছু দিকে খেয়াল রাখুন।
ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানিয়ে হেয়ার স্টাইল বেছে নিন
হেয়ার স্টাইল এমনভাবে করুন, যা আপনার ব্যক্তিত্বকে পুরোপুরি ফুটিয়ে তুলবে। কলেজে যাচ্ছেন বা যেখানে কাজে যাচ্ছেন কিংবা যে শিডিউল মিলিয়ে কাজে যাচ্ছেন এর আশপাশের পরিবেশ অনুযায়ী নিজেকে গুছিয়ে নেবেন। তাই সব পরিবেশ বিবেচনায় রেখেই হেয়ার স্টাইল করুন।
অনুষ্ঠান বুঝে হেয়ার স্টাইল
যে অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, সে অনুযায়ী হেয়ার স্টাইল করুন। গ্ল্যামারাস পার্টিতে গেলে হেয়ারের লুকে বৈচিত্র্য রাখতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে কার্ল হেয়ার করতে পারেন। তবে যদি চুল কার্ল হয়, স্টেইট করে নিজের লুকে ভিন্নতা দিতে পারেন। গ্ল্যামারাস পার্টিতে লুক পাল্টে নিলে আপনাকে আকর্ষণীয় দেখাবে। ঘরোয়া পার্টিতে চুলকে গুছিয়ে নিন।
পোশাকের সঙ্গে মানানসই
পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে মেকআপ করছেন। সেই অনুযায়ী হেয়ার স্টাইলও বাছুন। মেয়েরা চুলে খোপা, ব্রেইড হেয়ার স্টাইল, স্ট্রেইট চুল করতে পারেন শাড়ির সঙ্গে। আবার কামিজ বা ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে লুজ কার্ল, সাইড বান, ফ্রেঞ্জ বেণি করে নিতে পারেন। সুন্দর হেয়ার কাটে চুল খোলাও বেশ মানিয়ে যায়।
বয়স বুঝে হেয়ার স্টাইল
নিজের বয়সকে ভুলে গেলে চলবে না। হেয়ার স্টাইলের সময় নিজের বয়সকে বিবেচনায় রাখুন। তরুণ বয়সের সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক নারীর হেয়ার স্টাইল কিছুটা হলেও আলাদা হবে। তরুণ বয়সে এক্সপেরিমেন্ট বা ফিউশন স্টাইল করা যেতে পারে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ল্যাসি লুকে বেশ ভালো লাগে।
পছন্দের হেয়ার কাট
মুখের আকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে পছন্দের হেয়ার কাটটি করে নিন। কাজের সুবিধার্থে অনেকেই পনিটেল ও ফ্রন্ট পাফ করেন। এলিগেন্ট ও ক্ল্যাসি লুক পেতে মেসি বান বা সাইড ব্রেইড করলেও বেশ মানিয়ে যাবে। ছোট চুল থাকলে বাঁধার ঝামেলায় যাবেন না। ছেড়েই রাখুন। তবে খেয়াল রাখবেন হেয়ার স্টাইল যেন কাজের বিপত্তি না ঘটায়। হেয়ার কাট ও স্টাইর যতটা আরামদায়ক হবে, ততটাই কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন।