রূপচর্চায় ভিটামিন ই-এর জুড়ি মেলা ভার। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ‘ইভিয়ন’ ক্যাপসুল নামেও পরিচিত। ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এটি। ত্বকের বেশ কিছু সমস্যার চটজলদি সমাধান পাওয়া যায় ভিটামিন ই-এর ব্যবহারে। তবে শুধু ত্বকের পরিচর্যাতেই ভিটামিন ই ব্যবহৃত হয়, বিষয়টি তেমন নয়। দেহের সামগ্রিক সৌন্দর্য বজায় রাখতেও ভিটামিন ই ব্যবহার করা যেতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন ই-এর নানাবিধ ব্যবহার সম্পর্কে-
নখের যত্নে ভিটামিন ই
প্রাত্যহিক জীবনের যাবতীয় কাজ করার ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা হল দু'টি হাত। বিশেষ করে রান্না বা কাপড় কাচার মতো কাজ রোজ করতে হয় আমাদের। তাই নখের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। অনেক সময় নখের মধ্যে হলুদ দাগছোপও পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে নখ ভাল রাখতে প্রয়োজন ভিটামিন ই ক্যাপসুল। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নখ এবং নখের চারপাশে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভালো করে মালিশ করে নিলে নখ থাকবে সুস্থ ও সুন্দর।
নাইটক্রিম হিসাবে ভিটামিন ই
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেকেই নাইটক্রিম বা কোনও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকেন। এই ক্রিমের মধ্যে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে দিলে সিরামের কাজ করবে। ত্বক আর্দ্র থাকবে। তাই ত্বকের যত্নে প্রতিদিন রাতে ব্যবহার করুন ভিটামিন ই ক্যাপসুল।
চুলের যত্নে ভিটামিন ই
চুলের যত্নে ভিটামিন ই দারুণ কাজ করে। চুলে নিয়মিত যে তেল ব্যবহার করেন, তার সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে সপ্তাহে দু'দিন মাথায় মাখতে পারেন। ২-৩ ঘণ্টা রেখে তারপর মাথায় শ্যাম্পু করে নিন। চুল বৃদ্ধি পাবে দ্রুত এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হবে।
মুখের বলিরেখা প্রতিরোধে ভিটামিন ই
অকাল বার্ধক্য ঠেকাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল বেশ কার্যকরী। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর ভিটামিন ই ত্বকের বলিরেখা দূর করতে এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকে মালিশ করলে ত্বক টানটান হয়।