শীতকাল মানেই উৎসব, পালা-পার্বনের মেলা পড়ে যায়। গ্রাম হোক বা শহর, উৎসবের আমেজ থাকে অভিন্ন। হাতে গোনা আর কয়েকদিন পরেই আসছে বড়দিন। এই বড়দিনের উৎসব উদ্যাপন নিয়ে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন অনেকেই। সাজপোশাক থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়ায় আছে নানা পরিকল্পনা। তবে এসবের মধ্যেও নজর রাখতে হবে নিজের ঘরের দিকে। আসছে বড়দিনে কীভাবে সুন্দর করে সাজাবেন আপনার ঘরসহ পুরো বাসাটি। ঘরের পর্দা থেকে শুরু করে আলোর ব্যবহার, সবকিছুতেই আনুন উৎসবের আনন্দ।
বসার ঘরেই থাকুক ক্রিসমাস ট্রি
বড়দিন মানেই ক্রিসমাস ট্রি। তাই ঘর সাজাতে ক্রিসমাস ট্রি অবশ্যই প্রয়োজন। আপনার পছন্দমতো ক্রিসমাস ট্রি অনুন। তবে বেশি বড় গাছের দরকার নেই। বসার ঘরের ফাঁকা জায়গা থাকলে দেওয়াল ঘেঁষে গাছটি রাখুন। তারপর টুনি বাল্ব বা ফেয়ারি আলো গাছে জড়িয়ে দিতে পারেন। আপনার পছন্দের অলঙ্কার, সৈনিক বল, পাইন শঙ্কু, ধনুক বা আরো ভালো চয়ন করুন, আপনার ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর জন্য আপনার নিজস্ব সজ্জা তৈরি করুন।
ক্রিসমাস মোজা
এই সময়ে যেকোনো ঘর সাজাতে বড়দিনের মোজা অপরিহার্য। এই মোজা ছাড়া সান্তা কোথায় তার ক্রিসমাস উপহার ছেড়ে যাচ্ছে, বোঝার কোনো উপায় নেই। তাই ঘরে ফায়ায়প্লেস থাকলে মোজাগুলো সেখানে রাখুন।
জানালা সাজান রঙিন আলোয়
ঘরে থাকা টুনিবাল্বগুলো ঝটপট বার করে ফেলুন এই বড়দিনে। এবার ঝুলিয়ে দিতে পারেন ঘরের জানালা ও দরজায়। এছাড়া, উল, বেলুন, আঠা ও সামান্য প্লাস্টার অফ প্যারিস দিয়ে বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন আলোর ফানুশ বা ল্যানটার্ন। ল্যানটার্নে আলো জড়িয়ে জানালা, বারান্দা অথবা ছাদেও লাগাতে পারেন।
উৎসবের রং হোক লাল
এই বড়দিনে বাড়ি সেজে উঠুক লাল রঙে। দেওয়ালের রং হোক বা কুশন, কার্পেট থেকে দরজা জানলার পর্দা, সবটাই সেজে উঠুক উজ্জ্বল লাল রঙে। আর সঙ্গে রাখতে পারেন সাদার ছোঁয়া।
মোমবাতি আলোয় সাজুক ঘর
মোমবাতি ছাড়া বড়দিনের উৎসব অসম্পূর্ণ। এখন অনেক রঙিন মোম পাওয়া যায়। সেগুলি দিয়ে সাজাতে পারেন আপনার ঘর। তাছাড়া অনেকের বাড়িতেই পুরনো দিনের ঝাড়বাতি আকারের মোমবাতির স্ট্যান্ডও থাকে। এই বড়দিনে সেগুলো ঘর সাজাতে ব্যবহার করুন।
বড়দিন আলোকিত হোক লণ্ঠনের আলোয়
বড়দিন বা যেকোনো উৎসব আমাদের জীবনের আনন্দ নিয়ে আছে। একরাশ আলো বয়ে আনে আগামির জন্য। তাই এই বড়দিনে বাড়ির দেওয়ালেও লাগান আলোর ছোঁয়া। বড়দিনের সন্ধ্যায় লণ্ঠন থেকে ঝরে পড়া আলোয় সেজে উঠবে আপনার কুটির।