দরজায় কড়া নাড়ছে দোল উৎসব। রঙে রঙে মেতে উঠবে সবাই। ছোট থেকে বড় সবাই একসঙ্গে এই উৎসব নেচে গেয়ে পালন করবে। উৎসবের প্রস্তুতি চলছে এখন থেকেই। রং আর পিচকারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারণ রঙের খেলাতেই মাতবে প্রত্যেকে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এখন সবাই এই উৎসব উদযাপনে মেতে উঠে।
দোল উৎসবে রঙের খেলায় পাউডার রং বা লিকুইড রং ছিটিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হয়। আয়োজনে থাকে লাল, সবুজ, গোলাপি, হলুদসহ নানা রং। সামনে যাকেই পাওয়া যায় তাকেই নানা রঙে রাঙিয়ে দেওয়ার রীতি চলছে বহু বছর ধরে। তাই ভালো রঙের ব্যবহার করতে হয়। সম্প্রতি বাজারে যে রং পাওয়া যায়, তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হয়। অ্যালার্জিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয় এসব রঙে। অনেকে সেই ভয়ে গায়ে রঙও মাখেন না। তাই রঙ খেলা উপভোগ করতে এবার বাড়িতেই রং বানিয়ে নিন। যা ত্বকের জন্য ভালো হবে।
হলুদ রং
হলুদগুঁড়ো আর বেসন দিয়ে ঘরেই রং বানিয়ে নিতে পারেন। দুই্টি উপাদানই সমপরিমাণ মিশিয়ে নিন। এরপর তা ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। বেসন ও হলুদ দুটোই ত্বকের জন্য ভালো।
লাল রং
লাল রং তৈরি করতে হলুদ গুঁড়োর সাহায্য নিতে পারেন। খুব সহজেই লাল রং বানানো যাবে। হলুদের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ শুকিয়ে নিন। তৈরি হয়ে যাবে লাল রং।
গোলাপি রং
লাল রঙের মতো তৈরি করুন গোলাপি রং। হলুদের মধ্যে লেবুর রস ব্যবহার করলেই হবে। তবে এক্ষেত্রে লেবুর রসের পরিমাণ হতে হবে সামান্য। সামান্য পরিমাণে লেবুর রস মেশালেই গোলাপি রং হয়ে যাবে।
সবুজ রং
সবুজ রং তৈরি হবে ময়দা দিয়ে। অবাক হচ্ছেন? না খুব সহজেই ময়দার সঙ্গে মেহেন্দি মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন সবুজ রয়। মেহেদির ত্বকের জন্য় ভালো। খাবারের রং এতে মেশাতে যাবেন না। কারণ এটি প্রাকৃতিক নয়।
বাদামি রং
প্রথমে ২০০ গ্রাম কফিগুঁড়ো পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানির রং যখন বাদামি হবে তখন নামিয়ে ঠান্ডা করে রাখুন। এতে দেড় কেজি পরিমাণ কর্ন ফ্লাওয়ার মিশিয়ে দিন। এরপর এতে অল্প পরিমাণে গোলাপ জল মিশিয়ে দিন একদিন রেখে দিলেই এটি শুকিয়ে যাবে। যেদিন ব্যবহার করবেন তার দিন এটি তৈরি করে নিতে হবে।