বড় মাছের তুলনায় ছোট মাছের উপকারিতা বেশি। বিশেষ করে কাঁচকি মাছ যেমন উপকারী, তেমনই সুস্বাদু। তবে মাছ খাওয়া অনেকেরই অপছন্দ। ছোটরা তো মাছের কথাই শুনতে পারে না। ছোট মাছ থাকলে সেদিন না খাওয়ার বায়না ধরে। সাধারণত বাড়িতে কাঁচকি মাছ দিয়ে গতানুগতিক একই ধাঁচের রান্না হয়। যা দেখলেই ছোটরা আপত্তি জানায়। বড়দের ক্ষেত্রে একঘেয়েমিতা চলে আসে। তাই এর বিকল্প চিন্তা করতে হবে। মানে কাঁচকি মাছ দিয়েই মজাদার ভিন্ন পদ রান্না করে পরিবেশন করুন। দেখবেন ছোটরা তো খাচ্ছেই, বড়রাও প্রশংসা করবে।
কাঁচকি মাছ দিয়ে বানিয়ে নিন নাস্তার পদ। নতুন এই পদটির নাম কাঁচকি মাছের পাকোড়া। খুব সহজ এই পদটি বানানো। বাড়িতে কাঁচকি মাছ থাকলে আজই চেষ্টা করুন নতুন এই রেসিপিটি_
২০ মিনিটে কাঁচকি মাছের পাকোড়া বানানোর সহজ রেসিপি নিয়ে থাকছে আজকের আয়োজন_
যা যা লাগবে_
- কাচকি মাছ- (১ কাপ)
- বেসন– (১/২ কাপ)
- কর্ন ফ্লাওয়ার- (১/২ কাপ)
- পেঁয়াজ কুঁচি- (২ টেবিল চামচ)
- কাঁচা মরিচ কুঁচি– (২ চা চামচ)
- আলু কুঁচি- (১/২ কাপ)
- ডিম- (১টি)
- রসুন বাটা- (১ চা চামচ)
- জিরা গুঁড়া- (১/২ চা চামচ)
- ধনেপাতা কুঁচি- (১ টেবিল চামচ)
- লবণ- (স্বাদ অনুযায়ী)
- গোল মরিচের গুঁড়া- (১/২ চা চামচ)
- তেল- (ভাজার জন্য)
যেভাবে বানাবেন_
প্রথমে একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচা মরিচ কুঁচি, আলু, জিরা গুঁড়া, লবণ ও গোল মরিচের গুঁড়ো একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এতে বেসন, কর্ন ফ্লাওয়ার, ডিম ও রসুন বাটা দিয়ে মাখিয়ে নিন। সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। সবশেষে এতে কাঁচকি মাছ দিয়ে আবারও মাখিয়ে নিন। কাঁচকি মাছ দিয়ে বেশি মাখানো যাবে না। কারণ কাঁচকি মাছ অনেক নরম হয়। তাই সবশেষে মেশানো হয়।
এবার একটি ননস্টিকি পাত্র চুলায় দিন। এতে তেল গরম করে নিন। মিশ্রণটি থেকে পছন্দমতো শেইপে পাকোড়ার মতো বানিয়ে ডুবো তেলে ছাড়ুন। একপাশ ভালোভাবে হলে অন্যপাশ উল্টে দিবেন। খেয়াল রাখবেন যেন বেশি ভাজা না হয়। রং বাদামি হলেই ডুবো তেল থেকে উঠিয়ে নিবেন। অবশ্যই কিচেন টিস্যু রাখা পাত্রে পাকোড়া তুলে রাখবেন। কারণ এটি বাড়তি তেল শুষে নিবে। সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।