শিশু জন্মের পর থেকে মায়ের দুধ পান করার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। অন্তত ছয় মাস শুধু মায়ের দুধ পান করাতে হয়। এরপর শিশুদের অন্য খাবার দেওয়া যায়। তখনই বাবা-মায়ের মধ্যে চিন্তা শুরু হয়। কী খাওয়াবো, কোন খাবার শিশুর জন্য় ভালো হবে। এই সময় শিশুদের খাদ্যতালিকায় শক্ত খাবার যোগ করা উচিত। কারণ তাদের শরীরে বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবারের প্রয়োজন হয়। এসব খাবারে ডাল এবং সবজির মিশ্রণ থাকতে পারে। যা শিশুকে পুষ্টি দিবে। এসব খাবার ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং খনিজের মাত্রা ঠিক থাকতে হবে। যা সহজেই পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
দুধ ছাড়ানোর পর বাচ্চাদের পর্যাপ্ত শক্তি, প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে শিশুর খাবার ঘরে বানিয়ে নিজেই খাওয়াতে পারেন। যা হতে পারে সেরা খাবার। এটি হালকা এবং শিশুর পেটের জন্যও সহনীয় হবে। শিশুরা এই খাবার সহজেই গিলে ফেলতে পারে এবং হজম করতে পারে।
শিশুর বয়স ছয় মাস হলে যে ধরণের সুস্বাদু এবং শক্তি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো যেতে পারে তার একটি রেসিপি থাকছে এই আয়োজনে_
যা যা লাগবে_
- শুকনো কলার গুঁড়া- ৫০ গ্রাম
- মুগ ডাল- ২৫ গ্রাম
- ভাজা চিনাবাদাম- ২৫ গ্রাম
- চিনি- ২৫ গ্রাম
- পানি- প্রয়োজন মতো
- নারকেল দুধ-আধা কাপ
যেভাবে বানাবেন_
প্রথমে কলার চামড়া তুলে নিন। কলা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এরপর কলার টুকরো রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। শুকনো কলা মিহি গুঁড়ো করে নিন।
এদিকে মুগ ডাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এগুলো হালকা ভেজে নিন। এরপর মুগ ডাল ও কলার টুকরো আলাদাভাবে ব্লেন্ডারে পাউডার বানিয়ে নিতে হবে। এগুলো আলাদা পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
এবার একটি পাত্রে পর্যাপ্ত পানি দিন। কলার গুঁড়ো আর ডালের গুঁড়ো পরিমাণ মতো পানিতে মিশিয়ে নিন। মাঝারি আঁচে রান্না করুন। যতক্ষণ না এটি কিছুটা ঘন হয়ে যায় ততক্ষণ রান্না করুন। এরপর এতে নারকেল দুধ এবং চিনি দিন। চিনির পরিবর্তে চাইলে গুড়ও ব্যবহার করতে পারেন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। হালকা গরম অবস্থায় এই খাবারটি শিশুকে খাওয়ান।
যা খেয়াল রাখবেন
বাচ্চাদের খাবার তাজা রান্না করে খাওয়ানোই ভালো। একেবারে রান্না করে সারাদিন খাওয়ানো ঠিক না। তাই শিশুদের জন্য খাবার ঘরেই তৈরি করে রাখুন। খাবারের আগে রান্না করে শিশুকে টাটকা খাওয়াবেন।