• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জানেন কি সানগ্লাস কাদের জন্য তৈরি হয়েছিল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০২:১৮ পিএম
জানেন কি সানগ্লাস কাদের জন্য তৈরি হয়েছিল

সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি চোখের ভেতরের অংশের ক্ষতি করে। চোখের পাতা, চোখের চারপাশ, ত্বকে জ্বালাভাব, কালি পড়া, ভাঁজ পড়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে বাঁচতে সানগ্লাস পরা প্রয়োজন। এখন হরেক রকম ফ্রেমের, নানা রঙের কাচ দিয়ে তৈরি হচ্ছে সানগ্লাস।  তবে শুনলে হবাক হবেন, রোদ থেকে চোখ বাঁচাতে নয়, এই সানগ্লাস তৈরি হয়েছিল আইনজীবীদের জন্য।

সানগ্লাসের জন্ম চীনে। দ্বাদশ শতাব্দীতে চীনে এই চশমা তৈরি হয়েছিল আদালতে ব্যবহারের জন্য। তার আগে এমন কিছু যে চোখে দেওয়ার জন্য হতে পারে, সেটাই কারও জানা ছিল না। এটি তৈরি হয়েছিল মূলত চোখের কথা আড়াল করতে। আর তা সবার জন্য নয়। আইনজীবীদের চোখের ভাষা আড়াল করতেই তৈরি করা হয় এই রঙিন চশমা।

সে সময় চীনে যখন আদালতে বিচার বসত, সেখানে যিনি বিচারক তিনি কোনো এক পক্ষের কথা শুনতেন, তখন তিনি ধোঁয়াটে স্ফটিকের একটি চশমা জাতীয় জিনিস চোখে পরে থাকতেন। যাতে যিনি বক্তব্য রাখছেন তার বক্তব্য শুনে বিচারকের অভিব্যক্তির পরিবর্তন কারও চোখে না পড়ে।

 

আবার আদালতে আইনজীবীরা যখন অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাতেন, তখন নিজেদের চোখের ভাব আড়াল করার জন্য দরকার হতো রঙিন চশমার। কারণ অনেক সময় জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় উকিলেরও মন গলে যায়। অভিযুক্ত মিথ্যা বললে বুঝতে কখনো উকিলেরও ভুল হতে পারে। তিনিও তো মানুষ। তাই চোখের কথা যেন উল্টোদিকে কাঠগড়ায় থাকা ব্যক্তি বুঝতে না পারেন, সে জন্যই আইনজীবীদের দরকার হতো ধূসর কাচের চশমা। সেই থেকেই রোদচশমার জন্ম বলে মনে করা হয়। যার সঙ্গে রোদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।

তবে সানগ্লাসের ব্যবহার সাধারণ মানুষের জন্য শুরু হয় অনেক পরে। ১৯ শতকে ইউরোপে সিফিলিসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। হলুদ ও বাদামি রঙের সানগ্লাস ছিল এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য। সিফিলিস হচ্ছে একটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, যা সাধারণত যৌন যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়ায়। যেন সাধারণ মানুষ তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারে এ জন্য চিকিৎসকরা তাদের হলুদ ও বাদামি রঙের চশমা পরে থাকতে বলতেন। এবং এই রঙের চশমা ছিল আলো সংবেদনশীল। ফলে রোগীরও দৃষ্টি ভালো রাখতো রোদে।

Link copied!