বর্তমানে বাস্তব পরিস্থিতি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, পরিবারের কাজে সাহায্যের জন্য একজন গৃহকর্মীর প্রয়োজন হয়। যে পরিবারের স্বামী-স্ত্রী উভয়েই চাকরি করেন তাদের ক্ষেত্রে তো আরও বেশি সত্য এই বাস্তবতা। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো অনেক সময় এই গৃহকর্মীর দ্বারাই নানান বিপদের সম্মুখিন হতে হয় ঘরের মানুষের। এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে হরহামেশাই ঘটছে। তাই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই না করে গৃহকর্মী নিয়োগ দেওয়া উচিত নয়। গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখবেন একনজরে সেগুলো দেখে নেওয়া যাক চলুন-
- বিশ্বস্ত সূত্র থেকে গৃহকর্মী নিতে হবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান গৃহকর্মী সরবরাহ করে, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নিতে হবে। লাইসেন্স আছে কি না, নিশ্চিত হতে হবে।
- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ফরমে গৃহকর্মী ও গাড়ির চালকদের তথ্য দেওয়ার ঘর রাখা আছে। যিনি গৃহকর্মী রাখবেন, তার দায়িত্ব ফরমটি পূরণ করে থানায় জমা দেওয়া।
- গৃহকর্মী নিয়োগের আগে গৃহকর্মীর কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, সদ্য তোলা রঙিন ছবি, শনাক্তকারী ব্যক্তি, ওই ব্যক্তির পরিচয় ও তার জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে হবে। তথ্যগুলো স্থানীয় থানায় জমা দিতে হবে। নিজের কাছেও রাখতে হবে।
- এর আগে গৃহকর্মী কোথায় কাজ করেছেন, তার বিস্তারিত তথ্য, কাজ ছাড়ার কারণ এবং প্রয়োজনে ওই ঠিকানায় যোগাযোগ করে তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
- গৃহকর্মীর পরিবারের তথ্য, স্থায়ী ঠিকানা ও পরিবারে কে কে আছেন, তা জানতে হবে। প্রয়োজনে স্থায়ী ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে।
- গৃহকর্মী নিয়োগের পর তার গতিবিধি লক্ষ রাখতে হবে। বাসার মূল ফটকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর পাশাপাশি সম্ভব হলে ঘরের মধ্যেও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। বিশেষ করে ঘরে শিশু বা বৃদ্ধ কেউ থাকলে তাদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে সিসিটিভি রাখা জরুরি।
- ঘরের মূল্যবান জিনিস সাবধানে নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে। সন্দেহজনক কারও সঙ্গে গৃহকর্মী মুঠোফোনে কথা বলছে কি না, তাও খেয়াল রাখতে হবে।
- স্থানীয় থানার ডিউটি অফিসারের ফোন নম্বর সেভ করে রাখুন।
প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করার বিষয়টিও মাথায় রাখবেন।
সূত্র: প্রথম আলো