• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আর্জেন্টিনায় পরিচয়, এরপর অদ্ভূত কাণ্ডে রেকর্ড এই দম্পতির


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২, ০৫:৫৫ পিএম
আর্জেন্টিনায় পরিচয়, এরপর অদ্ভূত কাণ্ডে রেকর্ড এই দম্পতির

ট্যাটু হচ্ছে সৌখিনতা। যারা ফ্যাশনপ্রেমী তারাই বেশি ট্যাটু বানায় নিজের গায়ে। হয়তো হাতে, বা ঘাড়ে বা শরীরের যেকোনও একটি অঙ্গে ট্যাটু আঁকা হয়। চাইলে কেউ পুরো অঙ্গেই ট্যাটু করে নিতে পারে। তবে চোখ,মাড়ি, দাঁত এসব জায়গায় ট্যাটু বাদই পড়ে। কিন্তু এবার এসব সেনসিটিভ  জায়গাতেও ট্যাটু করেছেন এক দম্পতি। শরীরের পুরোটা জুড়েই রয়েছে ট্যাটু। এই দম্পতিরা হলেন ভিক্টর হুগো ও গ্যাব্রিয়েলা পেরলটার।

সম্প্রতি এই দম্পতি শরীরে নানাবিধ পরিবর্তন এনে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজেদের নাম তুলেছেন। তাদের শরীরে মোট ৯৮টি অলঙ্কার রয়েছে। এই যুগলের পরিচয় হয় আর্জেন্টিনায়। প্রায় ২৪ বছর আগের কথা। আর্জেন্টিনার বুয়েনোসে এক মোটর সাইকেল অনুষ্ঠানে গ্যাব্রিয়েলা এবং ভিক্টরের প্রথম দেখা। প্রথম আলাপেই প্রেম।  তারা দুজনই বডি মডিফিকেশন করতে ভালোবাসেন। ইমপ্ল্যান্টস কিংবা শরীরের পরিবর্তনের প্রতি দুজনেরই প্যাশন রয়েছে।

এই দম্পতির স্কলেরাস করেছেন। এতে তারা চোখের সাদা অংশ ট্যাটু করে, চোখের আইবল ইনকি ব্ল্যাক তৈরি করেছেন। শুধু ট্যাটুই নয়, ৫০ টি পিয়ারসিং, ৮টি মাইক্রোডার্মাল, ১৪ টি দেহের ইমপ্ল্যান্ট, ৫টি ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট, ৪টি কানের কৃত্রিমভাবে লম্বা করা, দুটি কানের দুল এবং জিহ্বায় কাঁটা রয়েছে এই দম্পতির। যাই করেছেন একসঙ্গে করেছেন। কিছু ট্যাটু করা তাদের জন্য খুব কষ্টকর ছিল বলেও জানান।

তবে কষ্টের ফল পেয়েছেন রেকর্ড গড়ে। গিনেস ওয়াল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছেন তারা। ভিক্টর হুগো বলেন, “ট্যাটু তোমাকে ভাল বা খারাপ মানুষ তৈরি করে না - এটা কেবলমাত্র শিল্প। এমন অনেকে থাকবেন যারা এটা পছন্দ করেন আবার অনেকে থাকবেন যারা বিষয়টি পছন্দই করেন না। বডি মডিফিকেশনে শৈল্পিক স্বাধীনতা ও অভিব্যক্তির সবথেকে বড়।“

জীবনে এখনও পর্যন্ত সবথেকে সুন্দর পরিবর্তনের কথা জানিয়ে ভিক্টর বলেন, “সবচেয়ে বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা ছিল জিহ্বা কাটা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। পরে আর কষ্ট হয়নি। এটিই সবচেয়ে সুন্দর ছিল।“

Link copied!