শীতকাল মানেই পিঠা খাওয়ার ধুম। নানী-দাদীদের ঢেঁকি ভাঙা চালে পিঠা বানানোর রীতি বাঙালি অনেক পুরোনো। গ্রামাঞ্চলে তো বটেই, শহরেও পিঠার জনপ্রিয়তার কমতি নেই। পাটিসাপটা পিঠা সবার পছন্দের। খেজুর গুড় দিয়ে, নারকেল দেন, গুঁড়ো দুধ আর সুজি দিয়ে পুর বানিয়ে পাটিসাপটা বানান অনেকে। ভেতরের পুর যত মজা হবে পাটিসাপটাও তত মজা। তবে ক্ষীরসা দেওয়া পাটিসাপটার স্বাদটা সবচেয়ে মজাদার। চলুন জেনে নেই কীভাবে ক্ষীরসা পাটিসাপটা বাননো যাবে।
ক্ষীরসা পাটিসাপটা বানাতে যা যা লাগবে
- ক্ষীরসা- ২৫০ গ্রাম
- তরল দুধ- ৫০০ মিলিলিটার
- গুঁড়ো দুধ- ৩ টেবিল চামচ
- চিনি- ১/২ কাপ
- এলাচ গুঁড়ো- সামান্য
- সুজি- ২ চা চামচ
- চালের গুঁড়ো- ১ কাপ
- ময়দা- ১/২ কাপ
- চিনি বা গুড়- ৩ টেবিল চামচ
- লবণ- ১ চিমটি
ক্ষীরসা পাটিসাপটা বানানোর যাবে যেভাবে
চুলায় তরল দুধকে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। দুধের সঙ্গে চিনি বা গুড় মিশিয়ে জ্বাল করুন। এরপর সুজি মিশিয়ে নিন। অনবরত নাড়তে থাকুন। এবার গুড়ো দুধ ও ক্ষীরসা মিশিয়ে নিন। নাড়তে নাড়তে পুরটি ক্রিমি টেক্সচার আসবে। একটু চেখে দেখুন। স্বাদ ঠিক থাকলে এলাচ গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে নিন।
এবার একটি পাত্রে ময়দা, চালের গুঁড়ো, গুড়ো দুধ, চিনি বা গুড় ও সামান্য লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তরল দুধ নিয়ে ব্যাটার বানিয়ে নিন। ব্যাটারটি একদম পাতলা করা যাবে না।
এদিকে একটি ননস্টিকি সসপ্যানে ঘি ব্রাশ করে দিন। চুলার আঁচ কমানো থাকবে। ব্যাটারটি গোল চামচের সাহায্যে তুলে সসপ্যানে ছড়িয়ে দিন। ঘুরিয়ে চারদিকে গোলাকারে ছড়িয়ে দিন। রুটির মতো হলেই নামিয়ে ঢেকে দিন। এবার এক কোণে লম্বা করে ক্ষীরসা দিন। পিঠাটি ভাজ করুন। সাবধানে ভাজ করতে হবে যেন ভেঙে না যায়। পুরোটা ভাজ করে অন্য পাত্রে নামিয়ে নিন। এভাবে একটি একটি করে পাটিসাপটা বানিয়ে নিতে পারেন। দারুন স্বাদের এই পিঠা বিকেলে নাস্তা বা অতিথি আপ্যায়নের মূল আকর্ষণ হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :