• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

কেমন হবে ছোট ঘরের ফার্নিচার?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২১, ০৩:৩৯ পিএম
কেমন হবে ছোট ঘরের ফার্নিচার?

চাকরি পেয়ে শহরে নতুন বাসা নিয়েছেন কিন্তু বিপদে পড়েছেন ফার্নিচার নিয়ে। শহরের ছোট ঘরে আপনার ফার্নিচার রাখলে অতিরিক্ত জায়গা থাকে না। এ রকম ঘটনা আমদের সঙ্গে হরহামেশা ঘটে। বাসায় ফার্নিচারের জন্য চলাফেরা করার জায়গাটুকু থাকে না।

তবে একটু বুদ্ধি করে ফার্নিচার সাজালে মিলতে পারে এই সমস্যার সমাধান। সম্প্রতি ফার্নিচারের বাজারে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। দেশীয় কায়দার ফার্নিচারেও আছে প্রযুক্তির ব্যবহার। তাই প্রয়োজনমতো বাছাই করতে পারেন আপনার ফার্নিচার। আর ঘর রাখতে পারেন ফার্নিচারের ঝামেলা মুক্ত।

আসুন জেনে নিই ঘর সাজানোর কিছু সাধারণ উপায়। 

সঠিক ফার্নিচার নির্বাচন: এখন বাজারে অনেক ধরনের ফার্নিচার পাওয়া যায়। তবে ভাঁজযোগ্য ফার্নিচারগুলো আপনার ঘরের জায়গা অনেকটাই বাঁচিয়ে দেবে। তাই পছন্দ করুন এধরনের ফার্নিচার। প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করুন। আবার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে ফোল্ড করে রাখুন। এতে করে ঘরে জায়গা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার বাচ্চারা খেলার সুযোগ পাবে।

কাস্টমাইজড ফার্নিচার: ঢাকায় ছোট একটা ফ্ল্যাটে থাকেন কিন্তু সেখানে ফার্নিচার রেখে শান্তি পাচ্ছেন না। একটা ফার্নিচারেই যেন ঘরের সব জায়গা নিয়ে নিয়েছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কাস্টমাইজড ফার্নিচারে। কারিগরের সাহায্যে বানিয়ে ফেলুন আপনার প্রয়োজন মতো সাইজের ফার্নিচার।    

মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার: কাস্টমাইজড করা ফার্নিচার বানিয়ে ফেলতে পারেন মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচারের আদলে। রুম ছোট হলে খাটের সঙ্গে যোগ করতে পারেন বই রাখার শেলফ। খাটের চারপাশে ছোট ছোট বই রাখার শেলফ আর নিচে জামা রাখার জায়গা জন্য জায়গা করুন।

মারফি বেড: বাড়ির সদস্যসংখ্যা বেশি হলে বানিয়ে নিতে পারেন মারফি বেড। জায়গা বাঁচাতে এই জিনিসের জুড়ি নেই। একই সঙ্গে দুজনের ঘুমানোর ব্যবস্থাও রয়েছে এতে। সেই সঙ্গে মারফি বেড ভাঁজ করে একেবারে দেয়ালের ভেতরে রেখে দিতে পারবেন প্রয়োজনে।

দরজার সামনের ফার্নিচার: বাড়ির প্রবেশমুখে সাধারণত অল্প জায়গা থাকে। সেখানে অনেকে জুতার শেলফ রাখা হয়। এতে জায়গাটি আরও কমে যায়। দরজার পেছনে জুতার ক্যাবিনেট সেট করলে তা সরাসরি নজরে পড়ে না এবং জায়গাও বাঁচে।

রান্নাঘরের ফার্নিচার: সব ফ্ল্যাটে রান্নাঘর বড় হয় না। এজন্য রান্নঘরের আসবাবগুলো একটু বুদ্ধি করেই নিতে হবে। ফ্রিজের পাশেই খালি জায়গায় বানিয়ে ফেলুন মসলা রাখার স্টোরেজ। একটি চাকাযুক্ত কার্ট লাগিয়ে মসলা রাখার বাড়তি স্টোরেজ তৈরি করুন। তাছাড়া চুলার ঠিক সামনে দেয়ালের সঙ্গে সেলফ লাগিয়ে নিতে পারেন। এখানে রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় সব জিনিস গুছিয়ে রাখতে পারেন। আপনার রান্নাঘর দেখতেও লাগবে গোছালো এবং সঙ্গে সঙ্গে জায়গাও বাড়বে।   

ডাইনিং ফার্নিচার: ফোল্ডেবল ডাইনিং টেবিলগুলো বেছে নিন। কারণ সেগুলো খাওয়ার পর তুলে রাখা যায়। তার সঙ্গে সেট করে নিন চেয়ার। বসার ঘরে সোফার পেছন দিকের বই রাখার জন্য আলাদা ক্যাবিনেটও তৈরি করে নিন। এতে ঘরের জায়গা বাঁচবে, বসার জায়গা তৈরি হবে।

 

 

Link copied!