• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চোখের সামনে নিজের হৃৎপিণ্ড, বিস্মিত তরুণী!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৩, ০৪:৪৩ পিএম
চোখের সামনে নিজের হৃৎপিণ্ড, বিস্মিত তরুণী!

নিজের হৃৎপিণ্ড স্বচক্ষে দেখার সুযোগ হওয়াটা একটা বিস্ময়কর ঘটনা। ইংল্যান্ডের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী জেনিফার সাটনকে সেদিক থেকে সৌভাগ্যবান বলতেই হবে। জাদুঘরে সংরক্ষিত নিজের  হৃৎপিণ্ড চাক্ষুষ করার বিরল সৌভাগ্য হয়েছে তাঁর। এমন খবরে চমকে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে এক অন্য এক গল্প। ১৬ বছর বয়সে জেনিফার ‘কার্ডিয়োমায়োপ্যাথি’ নামে এক বিরল রোগে আক্রান্ত হন। এই রোগ হলে হৃৎপিণ্ড সারা শরীরে রক্ত চালনা করা বন্ধ করে দেয়। এই জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে জেনিফার বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকেন। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা ছাড়া এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার আর কোনও উপায় নেই।

প্রথমে  হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করতে রাজি ছিলেন না জেনিফার। কারণ তাঁর মায়েরও একই শারীরিক সমস্যা ছিল। হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করাতে গিয়ে মৃত্যু হয় তার। ফলে এই বিষয়ে আতঙ্কিত ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিস্থাপন ছাড়াও আর কোনো উপায় ছিল না সুস্থ হওয়ার। বন্ধু এবং আত্মীয়স্বজনের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত প্রতিস্থাপন করাতে রাজি হন জেনিফার। সফল অস্ত্রোপচারের পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।

তাঁর আগের  হৃৎপিণ্ডটি রাখা হয় হলবর্নের ‘রয়্যাল কলেজ অফ সার্জেন মিউজিয়াম’-এ। সুস্থ হয়ে ওঠার পর সে কথা জানতে পারেন জেনিফার। তারপর স্বচক্ষে নিজের হৎপিণ্ড দেখতে যান মিউজিয়ামে। জেনিফারের কথায়, “হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের পর আমার নিজেকে একেবারে অচেনা লাগছিল। অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছিল। কিন্তু নিজের আগের   হৃৎপিণ্ড দেখে বিস্মিত হয়েছি। কখনো ভাবিনি যে এমন কোনও অভিজ্ঞতা আমার হবে।”

Link copied!