• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অবাধ্য সন্তানকে কথা শোনাবেন কীভাবে?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৩, ০৬:০০ পিএম
অবাধ্য সন্তানকে কথা শোনাবেন কীভাবে?

অবাধ্য ছেলে বা মেয়ের দৌরাত্ম্য নিয়ে আত্মীয় বা বন্ধু মহলে আলোচনাও কম হয় না। কিন্তু ভেবে দেখেছেন, কেন কথা শোনে না আপনার সন্তান? এটা কি তার দোষ, নাকি আপনারও ভূমিকা রয়েছে এর পেছনে। চলুন জেনে নিই—

  • সারাক্ষণ আদেশ-নির্দেশ অথবা তিরস্কার করতে থাকলে সন্তান আপনাকে প্রতিপক্ষ ভাবতে পারে, তাই সন্তানকে তিরস্কার থেকে বিরত থাকুন। কারণ, আপনি সন্তানের বন্ধু-এই অনুভূতিটি তার বিকাশের জন্যই জরুরি।
  • সন্তানের কথায় মনোযোগ দিন। তাকে বুঝতে দিন যে আপনি তাকে বোঝেন। তাহলে সে আপনার অনুগত হবে।
  • সন্তানের ব্যাপারে বাবা-মা ভিন্ন মত দেবেন না। এতে সন্তান বিভ্রান্ত হয়। আগেই সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে একমত হোন। আর কোনো ব্যাপারে দ্বিমত হলে তা নিয়ে কখনো সন্তানের সামনে বিতর্কে জড়াবেন না। নিজেরা কথা বলুন।
  • সন্তানের প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দিন। আপনি যদি তাকে এড়িয়ে চলেন সে জবাবের জন্য সে হয়তো এমন কাউকে খুঁজে নেবে, যেটা আপনার জন্য সুখকর না-ও হতে পারে।
  • সন্তানের চাহিদা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং পছন্দের সঙ্গে আপনার চাহিদা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং পছন্দের একটা ভারসাম্য আনতে হবে। এসব ক্ষেত্রে জেনারেশন গ্যাপকে মিটিয়ে ফেলুন। কিছু কিছু ব্যাপারে আপনাকে সহনশীল হতে হবে। সন্তানের সঙ্গে জেনারেশন গ্যাপের একটা কারণ হলো বাবা-মায়েরা চান তাদের ছোটবেলায় যেমন ছিলেন, সন্তানও ঠিক তেমন হবে। এতে পরিণতি খারাপ ছাড়া ভালো হয় না।
  • বাবা-মায়েরা অনেক সময় তাদের অপূর্ণ স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখতে চান তার সন্তানের মধ্যে। আর পরবর্তী সময়ে তার মাশুল দিতে হয় সন্তানকেই। সে না পারে বাবা-মায়ের চাওয়া পূরণ করতে, না পারে নিজের মেধাকে বিকশিত করতে। আপনার অপূর্ণ স্বপ্নের বাস্তবায়ন সন্তানের মধ্যে দেখতে যাবেন না।
  • শিশুদেরও যে আত্মমর্যাদাবোধ আছে এটা আমরা অনেক সময় ভুলে যাই। আমরা হয়তো অন্যের সামনে তাকে বকাবকি করি, ভুল ধরিয়ে দিই বা অপ্রস্তুত করি। এ ধরনের আচরণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
  • সন্তানকে তা-ই বলুন যা আপনি নিজেও পালন করেন। শিশুরা তাদের বাবা-মায়েরা কী বলছে সেটা নয়, কী করছে সেটাই অনুকরণ করে। কাজেই আপনার সন্তানকে এমন কিছু করতে বলবেন না যা আপনি নিজেই করেন না।
  • ভুল করলে মাশুল পেতে দিন, প্রয়োজনে শাস্তি দিন। আপনার সন্তান যদি বোঝে যে আপনার কথা না শুনেও সে পার পেয়ে যাচ্ছে, তাহলে সে অবাধ্য হতে উৎসাহ পাবে। তাই সারাক্ষণ চিৎকার চেঁচামেচি না করে শান্ত থাকুন। এ ব্যাপারে দৃঢ় হতে পিছপা হওয়া যাবে না। কারণ, সন্তান যদি বুঝতে পারে যে এই অবাধ্য হওয়ার জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে, তাহলে সে সাবধান হবে।
  • একই কথা বারবার বলা যাবে না। একই কথা বারবার বললে তার গুরুত্ব কমে যায়। এর চেয়ে একবার বলুন। তাকে বুঝতে দিন না শোনার শাস্তি।
Link copied!