• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ইংরেজি মাধ্যমে পড়ুয়া শিশুদের যেভাবে বাংলা চর্চা করাবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ১০:৫১ এএম
ইংরেজি মাধ্যমে পড়ুয়া শিশুদের যেভাবে বাংলা চর্চা করাবেন

মুখে ফুটেছে কিছু শব্দ আর আধো বুলি। ওইটুকু কথাও শিশু তার মায়ের ভাষাতেই বলবে, এটাই স্বাভাবিক। এই সময় তার মুখে ভিনদেশি শব্দ আমাদের কাছে সাময়িক আনন্দের উৎস হলেও তা শিশুটির ভাষাগত ভবিষ্যতের কোনো উজ্জ্বল দিক নির্দেশ করে না। নিজের ভাষার ভিত্তি তৈরি হওয়ার পর অন্য ভাষার চর্চা নিশ্চয়ই হবে। বিশ্বায়নের যুগে ভিনদেশি ভাষা ছাড়া এগিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই। তবে শিকড়টাকে ভুলে গিয়ে নয়।

শিশুদের যেভাবে বাংলা ভাষার চর্চা করাতে পারেন —

অভ্যাসে বাংলা 

শিশু-কিশোরদের সামনে ভাষা নির্বাচনে সচেতন হোন। শিশুদের সামনে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলুন, ভুল শব্দচয়ন থেকে বিরত থাকুন। এগুলো সম্পর্কে তাই নিজের জ্ঞান থাকাও আবশ্যক। প্রয়োজনে নিজেও শিখুন শুদ্ধ ভাষা। শিশুদের গল্প বলুন বাংলায়। আধো বুলিতে মজার ছড়া বাংলাতেই বলুক। পারিপার্শ্বিক কারণে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার করতে হলেও বাড়িতে বাংলার চর্চা রাখুন। ওর সঙ্গে বাংলাতেই কথা বলুন সব সময়। শিশুর বাংলা লেখার সময়ও বানান শুদ্ধ হচ্ছে কি না, খেয়াল রাখুন।


গৌরবের বর্ণমালা

বাংলা ভাষার ইতিহাস, ভাষাশহীদদের আত্মত্যাগ এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে নিজে স্বচ্ছ ধারণা রাখুন, গল্পচ্ছলে এই গৌরবের কথা শিশু-কিশোরদের জানান। শুদ্ধ বাংলার চর্চা করা যে আমাদের দায়িত্ব, সে বিষয়টি বুঝিয়ে দিন। সময়-সুযোগ করে একুশে বইমেলা, শহীদ মিনার, ভাষাশহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণে গড়ে তোলা জাদুঘর থেকে ঘুরিয়ে আনুন।

খেয়ালখুশির পড়ালেখা

শিশুদের বাংলা ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাসের বই উপহার দিন। বই বাছাইয়ের সময় ওদের বয়স আর পছন্দের দিকটা বিবেচনায় রাখুন। সুকুমার রায় বা বড়ুয়ার মজার ছড়ায় শিশু যেমন আনন্দ পাবে, তেমনি ওর চিন্তার পরিসরও আকাশ ছোঁবে। ভিনদেশি রূপকথাও বাংলায় পড়তে পারে শিশু। ব্যোমকেশ, প্রফেসর শঙ্কু, ফেলুদা, তিন গোয়েন্দা, পিকু, কুটি কবিরাজ—কাউকে না কাউকে আপনার পরিবারের কিশোরটির নিশ্চয়ই পছন্দ হবে।


চর্চার মাধ্যম

নিজের সারা দিনটিকে ডায়েরিতে বাংলায় লিখতে উৎসাহ দিতে পারেন। বাংলা অভিধান রাখুন ওর নাগালের ভেতর। আবৃত্তি শিখতে শিখতে ভাষার শুদ্ধতার চর্চা হয়। বিতর্কে বাড়ে ভাষাগত দক্ষতা। একই এলাকার শিশু-কিশোরদের নিয়ে সাহিত্য ও সংস্কৃতিমুখী কর্মকাণ্ডের আয়োজন করলে সবার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ডিজিটাল

ডিজিটাল যুগের এই সময়ে শিশু-কিশোরদের সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম। ডিজিটাল পর্দার বিনোদনের মাধ্যম হিসেবেও বেছে নিন বাংলাকে। বাংলা কার্টুন-অ্যানিমেশন-চলচ্চিত্রের ঝুলিও সমৃদ্ধ হচ্ছে। ভিনদেশি ভাষার কার্টুন-অ্যানিমেশন-চলচ্চিত্রও দেখতে দেবেন নিশ্চয়, তবে তা নিজের ভাষার ভিত্তি সুগঠিত হওয়ার পর। 

Link copied!