• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বারান্দায় ফুটে উঠুক নান্দনিকতা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩, ০৩:০৩ পিএম
বারান্দায় ফুটে উঠুক নান্দনিকতা

ঘরের চার দেয়ালের ভেতরে এক টুকরো খোলা জায়গা। একটু আকাশ দেখা, ঋতু পরিবর্তনের খেলায় মেতে ওঠা, কিংবা স্নিগ্ধ রোদের গায়ে ব্যালকনি ধরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে মন ভালো করা। আয়েশি বিকেলে হাতে ধরা চায়ের কাপটি নিয়ে সন্ধ্যাবধি বসে থাকা—তার নাম বারান্দা।

সবুজ বারান্দা

শরীর ও মন সুস্থ রাখতে সবুজের কাছাকাছি থাকা জরুরি। কিন্তু শহরে যাদের বসবাস, তারা খুব একটা সবুজের দেখা পান না। তাই গাছ দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার বারান্দা। ভিন্নতা আনতে ব্যবহার করতে পারেন পিতলের বাহারি নকশার টব কিংবা নানা ডিজাইনের টপ। পাতাবাহার, গুল্মজাতীয় ফুল গাছের টব বারান্দার কার্নিশে রাখতে পারেন। ছোট একটি তাক পেতে তাতে রাখতে পারেন ছোট ক্যাকটাস, বনসাই ইত্যাদির মতো ছোট গাছ। ঝুলন্ত গাছগুলো ঝুলিয়ে দিতে পারেন বারান্দার সিলিংয়ে। রেলিং বেয়ে নামিয়ে দিতে পারেন একটি লতানো গাছ। কিংবা একপাশে বড় পাত্রে পানি দিয়ে রাখতে পারেন জলজ উদ্ভিদ। হরেক রকম গাছে পরিপূর্ণ বারান্দা যেমন সুন্দর দেখায় তেমনি মনকে করে সজীব।

বারান্দা-ক্যাফে

মিষ্টি রোদের বারান্দায় বসে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে অবসর সময় কাটানো যায় অনায়াসে। ছুটির দিনের বিকেলে নিজের মতো কাটিয়ে দেওয়ার জন্য বারান্দা স্থান হিসেবে মন্দ হয় না। তাই বারান্দাকে সাজিয়ে তুলুন নিজের মতো। বিকেলে বই পড়তে পড়তে কফির কাপে চুমুক দিতে চাইলে ছোট্ট একটি ক্যাফেটেরিয়া সেট পেতে দিতে পারেন বারান্দায়। তবে বই পড়তে পড়তে সন্ধ্যা নেমে গেলেও যেন বিরক্তি নিয়ে উঠে পড়তে না হয় তাই মাথার ওপরে একটি সুন্দর ঝুলন্ত বাতি লাগিয়ে দিতে পারেন। চাইলে পাশে একটি শেলফ পেতে রাখতে পারেন ছোট ছোট কিছু শোপিস। ক্যাফেটেরিয়া টেবিলের ওপর রাখতে পারেন তাজা ফুলসহ একটি ফুলদানি।

বারান্দায় স্টুডিও

আপনার বাসার বারান্দাটি নিরিবিলি হলে সেটিকে সাজিয়ে নিতে পারেন নিজের স্টুডিও হিসেবে। যারা অনলাইন মিটিংয়ের সময় সুন্দর একটা ব্যাকগ্রাউন্ডের অভাব বোধ করেন, তারা নিজের বারান্দাটিকে কাজে লাগিয়ে ফেলতে পারেন। যারা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরির কাজ করেন কিন্তু বাসায় স্টুডিওর জন্য আলাদা রুম নেই, তারা বারান্দাটিকে সাজিয়ে ফেলতে পারেন স্টুডিওর মতো। এ ছাড়া ঘরের ভেতর সেজেগুজে ছবি তোলার স্থান হিসেবেও সাজিয়ে নিতে পারেন বারান্দা। দেয়ালটা নিজের মতো করে রং করে নিয়ে টাঙিয়ে দিতে পারেন একটি বড় ড্রিম ক্যাচার। আধুনিকতার ছোঁয়া রাখতে চাইলে সুন্দর ফ্রেমের একটি আয়না রাখতে পারেন। আবার বারান্দার ধরন বুঝে সাজাতে পারেন ফ্রেম করা শিল্পকর্ম দিয়ে।

আরামদায়ক বারান্দা

সাজানোর পাশাপাশি বারান্দাটিকে করে তুলতে পারেন আপনার আরামের স্থান। দুপুরবেলা খেয়ে একটা বই পড়তে পড়তে যদি শুয়ে পড়তে ইচ্ছে করে, তাহলে বারান্দায় টাঙিয়ে ফেলতে পারেন একটি চমৎকার হ্যামক। বারান্দাটা একটু বড় হলে রাখতে পারেন একটি দোলনা। কিন্তু বারান্দা ছোট হলে দোল খেতে পারবেন না এমন কোনো কথা নেই। ছোট বারান্দায় রাখতে পারেন একটি রকিং চেয়ার। এসব জিনিস শুধু আপনাকে আরামই দেবে না। সঙ্গে সাদামাটা বারান্দাটাকে করে তুলবে আকর্ষণীয়।

বারান্দায় ঐতিহ্যের ছোঁয়া

ঘরের সাজসজ্জার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আপনার বারান্দাটাকে সাজিয়ে তুলতে পারেন বাঙালি ঐতিহ্যের আবহে। বারান্দায় বসার জন্য পেতে দিতে পারেন নিচু টুল। টেবিলে হিসেবে রাখতে পারেন উঁচু জলচৌকি। মেঝেতে কার্পেটের অভাব পূরণ করতে পারে শীতলপাটি। বারান্দার সিলিংয়ে নকশি শিকা ঝুলিয়ে রাখতে পারেন নকশা করা মাটির হাঁড়ি কিংবা ঝুলন্ত গাছের টব। শীতলপাটির ওপর নকশিকাঁথা বিছিয়েও তৈরি করতে পারেন বসার স্থান। আরামদায়ক করে তুলতে বেশ কয়েকটি কুশন রাখতে পারেন সঙ্গে। আলোকসজ্জায় ব্যবহার করতে পারেন মৃদু আলোর লণ্ঠন অথবা পুরোনো হ্যাজাক বাতি।

Link copied!