• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বাঁ-হাতি দিবস: ডানহাতির ভিড়েও ধাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২২, ০৪:৫৯ পিএম
বাঁ-হাতি দিবস: ডানহাতির ভিড়েও ধাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা

কথিত রয়েছে, বাঁ-হাতি মানুষেরা ডানহাতিদের তুলনায় বেশি জ্ঞানী ও মেধাবী হয়। অনেকে এটি বিশ্বাসও করেন। কারণ বিশ্বের অনেক মেধাবী, সফল ও বিখ্যাত ব্যক্তিরাই বাঁ-হাতি। যাদের মধ্যে রয়েছেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, হেলেন কেলার, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, অ্যারিস্টটল, বারাক ওবামা, বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ, লেডি গাগা, জুলিয়া রবার্টস, ওপরা উইনফ্রে, মারি কুরি। শুধু তাই নয়, বিস্ময়কর ক্রীড়াবিদরাও বাঁ-হাতি। যেমনটা রয়েছেন মারাদোনা, ব্রায়ান লারা, সাকিব আল হাসান, ওয়াসিম আকরাম, যুবরাজ সিং, সৌরভ গঙ্গুলির মতো খেলোয়াড়রা।

এসব ব্যক্তিদের সফলতাই এই ধারণাকে আরও সূদৃঢ় করেছে। তাইতো বাঁ-হাতিদের উত্সর্গ করে বিশ্বজুড়ে দিবসও পালিত হয়। ১৩ আগস্ট, শনিবার আন্তর্জাতিক বাঁ-হাতি দিবস। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দিবসটি পালন করে। 

১৯৯২ সালে লেফট-হ্যান্ডার ক্লাব তৈরি করেছিলেন ক্যাম্পবেল। তিনিই বাঁহাতিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সঙ্ঘ তৈরি করেন প্রথম। দৈনন্দিন কাজে যারা বাঁ হাতকে প্রাধান্য দেন, তাদের সম্মানেই দিবসটি পালিত হয়। বাঁহাতিদের অধিকার রক্ষা ও অসুবিধা দূরীকরণে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৭৬ সাল থেকে এই দিনটি বিশ্ব বাঁহাতি দিবস হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে।

বিশ্বে ডানহাতি মানুষেরই সংখ্যা বেশি। বিশ্বে পুরুষ-মহিলা মিলিয়ে প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ বাঁহাতি। যারা তাদের সব প্রয়োজনীয় কাজ বাঁহাতেই করেন। ডানহাতিদের সামাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তারা মেধারও প্রমাণ দিয়েছেন। 

সাধারণত বাঁহাতিদের নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে এবং জোরের সঙ্গে নিজের অধিকার ঘোষণা করতে একটি বিশেষ দিনের প্রয়োজনীয়তা ছিল বলে মনে করেন ক্যাম্পবেল। তাই এই দিনে বাঁহাতিদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়গুলো নিয়েই হয় যত আয়োজন।

গবেষণায় দেখা গেছে, বাঁহাতিদের ডান পাশের মস্তিষ্ক বেশি ব্যবহৃত হয়। এ জন্যই সাধারণত বাঁ-হাতিরা বেশি উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন হয়।

লন্ডনের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত ডানহাতি ও বাঁ-হাতি ব্যক্তিদের উপর লেখা একটি বই বের হয়। যেখানে লেখা রয়েছে, বাঁ-হাতিদের জীবনের সাফল্য, প্রাপ্তি বা কৃতিত্ব ডানহাতিদের তুলনায় বেশি ঈর্ষণীয়। তাদের আইকিউ বেশি থাকে। এমনকি সংগীত ও গণিতেও তারা পারদর্শিতার প্রমাণ দেন।

বাঁ-হাতি মানুষের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় এখনও তাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ সময়ের সঙ্গে এখনও পাল্টেনি জীবনধারা। অধিকাংশ মানুষ ডানহাতি হওয়ায় দৈনন্দিন ব্যবহারের সব জিনিস সেভাবেই বানানো হয়। যাতে অভ্যস্ত হতে বেশ সময় লাগে বাঁ-হাতি মানুষদের। তবে সব ঝক্কি ঝামেলার মাঝেই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে শিখে তারা। তাইতো তাদের সৃজনশীলতার ক্ষমতাও বেশি হয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

Link copied!