• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চুম্বক মাথায় নিমিষেই আটকে যাচ্ছে ক্যান!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২২, ০৫:৩৭ পিএম
চুম্বক মাথায় নিমিষেই আটকে যাচ্ছে ক্যান!

শরীরে অসাধারণ ক্ষমতা থাকলেই মানুষ বিশেষ হয়ে উঠে। বিশেষ গুণের দেখা মিলে তাদের মধ্যে। যা তাদের আলোচনায় নিয়ে আসে। হয়ে উঠেন খবরের শিরোনাম। এমনকি বিশ্ব রেকর্ডেরও জায়গা পান তারা। বিশ্বে এমন গুণের অধিকারীর কমতি নেই। বিশেষ ক্ষমতা বা গুণের কারণে তারা আলোচিত ব্যক্তিত্ব।

বিশ্ব রেকর্ডের বিশেষ ক্ষমতার সেই তালিকা যুক্ত হয়েছে জেমি কীটনের নাম। আমেরিকার বাসিন্দা তিনি। নিজের শরীরে চুম্বকীয় শক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিস আটকে রাখতে পারেন এই ব্যক্তি। সম্প্রতি নিজের মাথায় একসঙ্গে ১০টি ভারী ক্যান আটকে রেখেছিলেন। টানা ৫ সেকেন্ড সেগুলো মাথায় আটকে ছিল। যা সত্যিই বিষ্ময়কর। এমন বিশেষ ক্ষমতার কারণেই গিনের ওয়াল্ড রেকর্ডে তার নাম উঠেছে। 

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ওয়েবসাইটে জানা যায়, জেমি কীটনের শরীরটাই যেন চুম্বক। যাকে বলা যায়  ‘ম্যাগনেট বডি’। নিজের টাক মাথায় একসঙ্গে ১০টি ক্যান আটকে রাখতে পারেন তিনি। কীটনের শরীরে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অক্সিজেন গ্রহণ করার ক্ষমতা রয়েছে তার। তাই তিনি সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশি অক্সিজেন ধরে রাখতে পারে। তখনই কীটনের ত্বকের বিভিন্ন অংশ চুম্বকের মতো কাজ করে। পানির ভর্তি বোতল, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন জিনিস তিনি নিজের মাথায় আটকে রাখতে পারে। 

এটিই প্রথম নয়। এর আগেও ৮টি ক্যান মাথায় আটকে বিশ্বরেকর্ডের তালিকায় নাম উঠিয়েছিলেন জেমি। ২০১৬ সালে ঘটেছিল সেই ঘটনা। কিন্তু তার সেই রেকর্ড ভেঙে দেন জাপানের এক ব্যক্তি। ২০১৯ সালে জাপানের কান্নোতে ৯টি ক্যান মাথায় আটকে রেখে চমক দেখান ওই ব্যক্তি। কিন্তু এরপর আবারও রেকর্ড নিজের ঝুলিতে নিয়ে আসেন জেমি। এবার ১০টি ক্যান ৫ সেকেন্ড আটকে রাখার মতো ক্ষমতা দেখিয়েছেন আমেরিকার এই বাসিন্দা।

নেটিজনরা জেমি কীটনের এই ক্ষমতার প্রশংসা করছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই ক্ষমতার কোনও নির্দিষ্ট সংগা নেই। তবে বিজ্ঞানীরা এই ধরণের ক্ষমতাকে ‘স্টিকি স্কিন সিনড্রোম’বলে বিবেচনা করছেন। 

বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে বেশ খুশি কীটন। কিন্তু মাঝে মধ্যে এই ক্ষমতা নিয়ে বিড়ম্বনায়ও পড়তে হয় তাকে। বিচিত্র কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। চুম্বকীয় শক্তির কারণে কোথাও হঠাত্ আটকেও থাকতে হয় তাকে। যা বেশ বিব্রতকর বলে জানান কীটন। 

Link copied!