গরম আবহাওয়ায় কিছুক্ষণ থাকলে বা কোনো ধরণের শারীরিক পরিশ্রম করলে মানুষের শরীর থেকে ঘাম রেব হয়। এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। ঘাম হলে শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন ও অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের হয়ে যায়। তাই ঘাম হওয়া শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু এটি কখনো কখনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। সেইসঙ্গে ঘামের কারণে সৃষ্ট উৎকট গন্ধ তো আছে।
শরীরে কোনো রোগ না থাকার পরেও যদি অতিরিক্ত ঘাম হতে থাকে তবে বুঝবেন, স্নায়ুগ্রন্থির প্রভাবে ঘর্মগ্রন্থি অতিরিক্ত মাত্রায় সক্রিয় থাকার কারণেই এই অত্যাধিক ঘামের সৃষ্টি। এছাড়াও ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, মেনোপোজ কিংবা উদ্বেগের কারণেও ঘাম বাড়তে পারে। তবে কিছু কাজ আপনাকে এই অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি দেবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘাম থেকে মুক্তির উপায় গুলো-
মেথি ভেজানো পানি পান করুন
অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর করতে মেথি ভেজানো পানি হতে পারে কার্যকরী উপাদান। এক চা চামচ মেথি এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন, পরদিন সকালে উঠে সেই পানিটুকু ছেঁকে খালি পেটে পান করুন। এতে অতিরিক্ত ঘামসহ আরও অনেক সমস্যা দূর হবে।
শরীরে প্যাক ব্যবহার করুন
ঘাম অতিরিক্ত হলে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন একটি বিশেষ মিশ্রণ। সারিভা, চন্দন, আমলকির গুঁড়া এবং গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর এটি ভালোভাবে গায়ে লাগিয়ে রাখুন, মিনিট বিশেক পর ধুয়ে ফেলুন।
চন্দনের ব্যবহার করুন
চন্দন ব্যবহারের রয়েছে অনেক উপকারিতা। এটি ত্বকের যত্নে অনেকভাবে উপকার করে। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা কমাতেও কাজ করে চন্দন। চন্দন বেটে নিন। এরপর শরীরের যে স্থানে ঘাম বেশি হয় সেখানে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টার মতো। এতে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
ঘাম কমাতে খাবারে আনুন পরিবর্তন
- অতিরিক্ত ঝাল এবং টক জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করুন এই গরমে। এর বদলে অল্প তেল-মসলায় তৈরি খাবার খান। বেশি গরম খাবার না খেয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রার খাবার খান।
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েকটি কিশমিশ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানিটুকু খেয়ে নিন।
- তেতো এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার সম্ভব হলে একটু বেশি খাবেন। এতে ঘাম কম হবে।
আপনার মতামত লিখুন :