• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মুখ ধুতে যে ভুলগুলো হয়


ঝুমকি বসু
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২২, ০২:৩৭ পিএম
মুখ ধুতে যে ভুলগুলো হয়

ভুল পদ্ধতিতে মুখমণ্ডল পরিষ্কার করার ফলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না, আবার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখানে মুখমণ্ডল পরিষ্কারে যে ভুলগুলো হয়, সেগুলো তুলে ধরা হলো।

ভুল তাপমাত্রার পানি ব্যবহার : মুখ ধোয়ার কাজে বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আবার বেশি ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে না। ফলে ত্বক পরিষ্কার হয় না। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখ ধোয়ার কাজে কুসুম গরম পানি হচ্ছে সবচেয়ে উপযোগী। খুব গরম নয় আবার খুব ঠান্ডাও নয় এমন পানি মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করলে ত্বকের সুস্থতা বজায় থাকে।

ঘন ঘন মুখ ধোয়া : যাদের মুখমণ্ডলের ত্বক বেশি শুষ্ক তাদের দিনে একবার এবং যাদের ত্বক বেশি তৈলাক্ত তাদের দিনে দুইবার পরিষ্কার করা উচিত। এর চেয়ে বেশিবার পরিষ্কার করলে আপনার ত্বক আরো বেশি শুষ্ক বা আরো বেশি তৈলাক্ত হয়ে উঠতে পারে। তাছাড়া সকাল বেলার চেয়ে রাতে মুখের ত্বকের পরিচর্যা করলে তা ভালো কাজে দেয়। কারণ রাতে ত্বক পরিষ্কার করার ফলে সারাদিনের ধুলো-ময়লা ত্বক থেকে দূর হয়ে যায়। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবল সূর্যের তাপ এবং অতি বেগুনি রশ্মিই ত্বকের ক্ষতি করে না। বরং সারাদিনের ধুলো-ময়লা ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ তাড়াতাড়ি ফেলে দেয়।

প্রায়ই স্ক্রাবিং করা : মুখের ত্বক পরিষ্কার এবং সুস্থ রাখতে স্ক্রাবিং-এর বিকল্প নেই। স্ক্রাবিংয়ের ফলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়ে যায় এবং ত্বক আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রতিদিন স্ক্রাবিং করা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া ত্বকের প্রদাহের জন্য অতিরিক্ত স্ক্রাবিং দায়ী। সপ্তাহে একদিন স্ক্রাবিং করুন।

তোয়ালে বা কাপড় নরম না হওয়া : মুখ মোছার কাজে বা কোনো প্রসাধনী ত্বকে লাগাতে নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন। কেননা খসখসে কিছু দিয়ে মুছলে মুখমণ্ডলের ত্বক ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যায়। ত্বকের মাধুর্য নষ্ট হয়। তাই মুখ ধোয়ার পর সবসময় নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন।

ফেসিয়াল টিস্যু ব্যবহার : প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার করার কাজে ফেসিয়াল টিস্যুর ওপর নির্ভর করা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ফেসিয়াল টিস্যু ত্বক সেভাবে পরিষ্কার করে না বরং এতে থাকা রাসায়নিক দ্রব্য ত্বকের মারাত্বক ক্ষতি করে। তাই মুখমণ্ডল পরিষ্কার করার জন্য হাতের কাছে কিছু না পেলে জরুরি প্রয়োজনে ফেসিয়াল টিস্যু ব্যবহার করুন, নিয়মিত নয়।

সাবানজাত ক্লিনজার ব্যবহার : সাবানজাত ক্লিনজার ব্যবহারের ফলে ত্বকে উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে যায়, ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং ত্বকে প্রদাহ তৈরি করে। সাবানহীন ক্লিনজার ত্বকে আর্দ্রতা যোগায় এবং ত্বক সুস্থ রাখে। সুতরাং কোনো ক্নিনজার কেনার আগে মোড়কের লেখা পড়ে দেখুন।

ভুল পদ্ধতিতে মুখে ক্লিনজার লাগানো : মুখমণ্ডল কার্যকরীভাবে পরিষ্কার করার জন্য ক্লিনজার হাতে নিয়ে মুখমণ্ডলে বৃত্তাকারে আলতোভাবে মালিশ করুন। এতে করে ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং তাড়াতাড়ি ত্বকের ময়লা পরিষ্কার হবে।

জোরে মুখ ঘষা : মুখ থেকে ময়লা পরিষ্কারে বেশি জোরে ঘষামাজা করলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আলতোভাবে ত্বক পরিষ্কার করুন।

শুষ্ক অবস্থায় মুখ মোছা : শুষ্ক অবস্থায় তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে মুখ মুছলে ত্বক জ্বালা থেকে রক্ষাকারী প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড এগুলো উঠে যায়, ফলে ত্বক সহজেই জীবাণু বা ময়লার সংস্পর্শে আসে। সুতরাং ভেজা অবস্থায় মুখ মুছুন।

ময়েশ্চারাইজার লাগানোর জন্য অপেক্ষা : কোনো ক্রিম বা লোশন মুখে লাগানোর দরকার থাকলে মুখ ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা লাগান। কেননা মুখ ধোয়ার পরপর ত্বক সবচেয়ে বেশি পরিষ্কার ও আর্দ্র থাকে।

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট

Link copied!