• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৫

চুল দেখে মানুষ চিনুন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২, ০২:১৮ পিএম
চুল দেখে মানুষ চিনুন

প্রতিটি মানুষই আলাদা। আলাদা হয় তাদের বৈশিষ্ট্য। চরিত্র, গুণাবলীও আলাদা হয়। কিছু বৈশিষ্ট্যে মিল পাওয়া গেলেও তার সংখ্যা খুবই কম। এই ভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলো মানুষকে ভিন্ন করে। মানুষের আচার ব্যবহার, কথাবার্তা, চলাফেরায় সেই ভিন্নতা ফুটে উঠে। কে কেমন, কার চরিত্র কেমন সবই বোঝা যায়। এই বৈশিষ্ট্য বোঝা যাবে মানুষের চুলের ধরণ দেখেও। মানে চুলের ধরণ দেখে আপনি মানুষের চরিত্র সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন।

চুল সৌন্দর্য্যের অন্যতম অংশ। মাথায় চুল না থাকলে কোনও কিছুতেই যেন পরিপূর্ণতা মিলে না। চুল সবারই পছন্দ। কেউ চুল বড় পছন্দ করেন তো কেউ আবার ছোট চুলের ভক্ত। এমন পছন্দই মানুষকে আলাদা করে। আপনার পছন্দ কী, তা জেনে বলে দেওয়া যাবে  আপনি কেমন মানুষ? চুলের সিঁথির ধরণ দেখে বলে দেওয়া যাবে আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন। তেমনই আপনি অন্যের চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কেও ধারণা করে নিতে পারেন।

মাঝে সিঁথি করেন নাকি একপাশে সিঁথে করেন, তা দেখে বলে দেওয়া যাবে কারো ব্যক্তিত্ব। যদি বামদিকে সিঁথি করা হয় তবে বুঝে নিন, তবে ওই ব্যক্তি অ্যানালিটিকাল এবং ম্যাসকুলাইন। অর্থাৎ তিনি যুক্তি দিয়ে কথা বলতে ভালোবাসেন। আবার আবেগও বেশি তার। সব বিষয়ে স্পষ্টভাষী। সবাইকে ভালোবাসেন। সবার সঙ্গে মিশতে পারেন। স্বনির্ভরও হতে প্রাণপন চেষ্টা করে যায়। সব কিছু গুছিয়েও রাখেন। এসব মানুষের আত্মবিশ্বাস অনেক। যা তার অন্যতম শক্তি। তিনি দয়ালু হয়। পরিস্থিতি অনুযায়ী কঠোরও হন। পোশাকের ক্ষেত্রে তিনি খুবই রুচিশীল হন। 

যারা ডানদিকে সিঁথি করেন তারা আবেগঘন এবং সহানুভূতিশীল হয়। তারা সব জিনিসের যত্ন নেন। অন্যকে সাহায্য করেন সবসময়। এতে নিজেদের খুশি খুঁজে পান। সামাজিক কাজ বেশি করেন। আবার ঘরোয়া স্বভাবের হন। পরিবারকে সময় দেওয়া ও বাড়ির কাজ করতে ভালোবাসেন। সবাইকে হাসিখুশি রাখেন ও সবার সঙ্গে মিশকে যেতে পারেন। এই ধরণের মানুষ  সৃজনশীল হন।

যেসব ব্যক্তি মাঝে সিঁথি করেন, তাদের মধ্যে সবকিছু ব্যালেন্স করার গুণ থাকে। তাদের মন খুব ভালো হয়। তারা ইতিবাচক চিন্তা করেন। বুদ্ধিমানও হন। খোলামেলা কথা বলতে পছন্দ করেন। চিন্তাভাবনায় বেশ বাস্তবসম্মত। খুব ধীর ও শান্ত হয়ে কথা বলেন। লক্ষ্যে স্থির করে গুছিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। তাদের রাগ কম থাকে এবং ধৈর্য্যশীল হন। 

যাদের মাথায় বেশি চুল থাকলে তারা সামান্য লোভী প্রকৃতির হতে পারে। এরা নিজের ক্ষতি করে থাকেন। তারা কাজের চাপ নিতে পারেন না। একটু চাপ বাড়লে তারা অল্পতেই চিন্তিত যান। 

যাদের মাথায় চুলের সংখ্যা সাধারণ হয় তারা ইতিবাচক মনোভাবের অধিকারী হন। তারা অল্পতেই খুশি থাকেন। তাদের চিন্তাভাবনাও ইতিবাচক হয়। যেকোনও পরিস্থিতিতে উপযুক্ত  সিদ্ধান্ত নিতে তারা বেশ পটু হন।

কোঁকড়ানো চুলের মানুষরা অনেক সক্রিয় হন। অন্যের প্রতি ও কাজের প্রতি তাদের নিষ্ঠা ও একাগ্রতা থাকে। তার পরিশ্রমী হোন। অন্যদিকে সোজা চুলের মানুষ বুদ্ধিমান হন। তারা ভেবেচিন্তে, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করেন। তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালোবাসেন।

Link copied!