গরমে সবচেয়ে অস্বস্তিকর হচ্ছে শরীর ঘেমে যাওয়া। কোনও পোশাক পরেও আরাম নেই। বাইরে কোথাও গিয়ে আরাম পাওয়া যায় না। একটু গরমেই যেন শরীর ঘামে ভিজে যায়। সুগন্ধি মেখে, বারবার কাপড় পাল্টেও যেন ঘামের দুর্গন্ধ কমানো যায় না। ঘামের দুর্গন্ধের কারণে হাত তুলে কারো সামনে দাঁড়িয়ে থাকাও বিব্রতকর।
অবশ্য সবারই এমন ঘাম হয় তা কিন্তু নয়। কারো অতিরিক্ত ঘাম হয়। আবার কারো শরীর তুলনামূলক কম ঘামায়। তবে ঘামের দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যা কম বেশি সবারই হয়।
শরীরে ঘাম হয় কেন জানেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের নানা প্রক্রিয়ার মতো ঘামও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আর ঘামে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ ত্বকে উপস্থিত ব্যাক্টেরিয়া। যার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয় এবং শরীরে দুর্গন্ধ হয়। এছাড়াও কিছু অভ্যাসের কারণেও ঘামের দুর্গন্ধ বেশি হয়। যেমন অপরিস্কার থাকা, একই পোশাক বেশিদিন ব্যবহার করা, মশলাজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এবং কফি, মদ জাতীয় পানীয় বেশি খেলে অতিরিক্ত ঘাম হয়।
এদিকে একেক জনের ঘামের গন্ধ একেক রকম হয়। কারণ ঘামের গন্ধ কেমন হবে, তা নির্ভর করে শারীরিক অবস্থার উপর। ছেলেদের ঘামের গন্ধ কড়া হয়। অন্যদিকে মেয়েদের ঘামের গন্ধ তুলনামূলক হালকা হয়। তবে মেয়েদের ঋতুচক্র শুরুর আগে এবং ঋতুচক্র বন্ধের সময় ঘামের গন্ধ পরিবর্তন হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘাম ও দুর্গন্ধ থেকে মুক্তির প্রথম উপায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। সেই সঙ্গে বেশি পরিমাণে পানি পান করা। শরীরের যে অংশে বেশি ঘাম হয় তা নিয়মিত ধুয়ে, রোমহীন রাখতে হবে। অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড দেওয়া সুগন্ধি ব্যবহার করলেও সমস্যা কমবে।
মশলাজাতীয় খাবারকে পরিহার করাও হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অতিরিক্ত ঘাম হওয়া থেকে মুক্তি দিবে এটি। আদা, রসুন বেশি খেলে সেই গন্ধ ঘামের সঙ্গে শরীরের বাইরে আসতে পারে। তাইএসব খাবার থেকে দূরে থাকুন। কফি, মদ জাতীয় পানীয়ও কম খাবেন।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, শরীরে ঘাম হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। তাই এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। কিন্তু পুরোপুরি পাল্টানো সম্ভব নয়। অতিরিক্ত ঘাম হলে হালকা পোশাক পরা আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপর বিশেষ জোড় দিতে হবে। এছাড়াও প্রতিদিন লেবু জাতীয় ফল বেশি খেলে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।