সৌদি আরবে তেলের ডিপোতে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত শিয়াপন্থী হুতি বিদ্রোহীরা। এছাড়া দেশটির বিভিন্ন স্থানে রকেট হামলা চালিয়েছে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে জ্বালানি উৎপাদনকারী সৌদি আরামকো কোম্পানির দুটি স্টোরেজ আগুনে পুড়ে গেছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে জেদ্দার বুরাইমান এলাকায় সৌদি আরামকোর ডিপো লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।
হুতি বাহিনী হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে শনিবার (২৬ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে রয়টার্স জানায়, লোহিত সাগর তীরবর্তী জেদ্দার আকাশে কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডুলী দেখা গেছে। এ হামলার জবাবে সৌদি জোট বাহিনী ইয়েমেনে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
জেদ্দা শহরেই রোববার (২৭ মার্চ) থেকে ফর্মুলা ওয়ান রেস শুরুর কথা রয়েছে। ওই আয়োজন শুরুর দুই দিন আগে ভয়াবহ এই হামলার শিকার হলো শহরটি।
হুতি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেন, “সৌদি আরামকোর স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র এবং রাবিগ শোধনাগারে ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া রিয়াদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতেও রকেট হামলা চালানো হয়েছে।”
এ ঘটনার বিষয়ে সৌদি আরামকোর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
হামলার নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, “পবিত্র রমজান মাসের আগে ইয়েমেনবাসীর জন্য প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ সংগ্রহের দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত। অথচ সেই সময়টিতে হুতিরা তাদের ধ্বংসাত্মক আচরণ এবং বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর বেপরোয়া সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।”
হুতি বাহিনীর দাবি, সৌদির জিজান, নাজরান, রাস তানুরা ও রাবিগেও ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তবে নাজরানকে লক্ষ্য করে ড্রোন থেকে নিক্ষেপ করা দুটি বিস্ফোরক ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে রিয়াদ। সৌদি আরবের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে এটি ধ্বংসের দাবি করা হয়েছে।
সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় এটিই প্রথম হুতির হামলা নয়। এর আগেও ইয়েমেনের এই বিদ্রোহীদের হামলায় দেশটির তেলশিল্পকে নাজুক অবস্থায় পড়তে হয়েছিল।