বড়দিনে কেন্দ্র করে ভারতের খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা। হরিয়ানার আম্বালার এক গির্জায় ভাঙচুর করা হয়েছে যিশুখ্রিস্টের মূর্তি।
এছাড়াও উত্তর প্রদেশের আগ্রায় ডানপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীর সদস্যরা একটি মিশনারি স্কুলের বাইরে সান্তা ক্লজের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে বলে জানায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। মিশনারীদের বিরুদ্ধে এলাকার লোকেদের উস্কানি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে আম্বালার গির্জায় যিশুখ্রিস্টের মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গির্জার সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে দুই হামলাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে।
শনিবার মধ্যরাতে প্রথমে গির্জা চত্বরের লাইট ভাঙা হয়। তারপর ভাঙা হয়েছে সেখানকার একটি যিশুর মূর্তি।
চার্চের ফাদার বলেন, ১৮৪০ সালে এই গির্জা প্রতিষ্ঠা করা হলেও, এযাবৎকাল কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা রাত ৯টার মধ্যে প্রার্থনা শেষ করি। সাড়ে ১০টার মধ্যে চার্চ বন্ধ করা হয়। এরপরই এসব ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে বড়দিনের উদযাপনের সময় গুরুগ্রামের এক অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার পতৌডির এসবিডি পাবলিক স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড়দিনের সময় প্রায়শই হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছেন খ্রিস্টানরা। এ বছর তাদের ওপর আক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ খ্রিস্টান। ডানপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীগুলি তাদের ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করাসহ নানাভাবে হয়রানি করে থাকে।