ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো রাজ্যের পাহাড়ি এলাকায় ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪। ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
পেট্রোপলিস শহরের মেয়র রুবেনস বোমটেম্পো বলেন, দুর্যোগে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষের মধ্যে অনেকের মরদেহ থাকতে পারে। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রিও ডি জেনিরো রাজ্যের গভর্নর ক্লাউদিও কাস্ত্রো পরিস্থিতিকে যুদ্ধক্ষেত্রের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি জানান, শহরের বিদ্যুতের খুঁটিতে গাড়ি ঝুলছে, এখানে-সেখানে ঘরবাড়ি উল্টে পড়ে আছে, প্রচুর কাদা ও পানিতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা। বুধবার উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার রিও ডি জেনিরোতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট হয় ভূমিধস ও বন্যার। দমকল কর্মীরা জানান, সেখানকার পাহাড়ঘেরা গোটা পর্যটন শহর বন্যায় তলিয়ে গেছে। সামাজিক মাধ্যমের ছবি ও ভিডিওতে বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ও গাড়ি ভেসে যেতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় নগর কর্তৃপক্ষ দুর্যোগকালীন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনায় ফায়ার সার্ভিসের ১৮০ জনের বেশি কর্মী ঘটনাস্থলে তৎপরতা চালাচ্ছেন।
রিও ডি জেনিরোর অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের বিবৃতির বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে গার্ডিয়ান। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শহরের ৬৮ কিলোমিটার উত্তরে ব্রাজিলের শেষ সম্রাট দ্বিতীয় পেদ্রোকে সমাধিস্থল অবস্থিত। মনোরম পাহাড়ি শহরের এই প্রাণহানির ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ব্রাজিলে।