যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়, তাহলে সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে এবং সেটি হবে ধ্বংসাত্মক বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
বুধবার (২ মার্চ) রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন বলে রুশ সংবাদ সংস্থা আরআইএ’র বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, “কিয়েভ যদি পরমাণু অস্ত্র অর্জন করে, তাহলে তা হবে রাশিয়ার জন্য সত্যিকারের বিপদ।”
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে পালাচ্ছে লাখো মানুষ।
পরে যুদ্ধবিরতিতে আসতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলারুশে প্রথমবার আলোচনায় বসে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। তবে আলোচনায় কোনো সমাধান আসেনি। তাই দুই দেশকেই দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসতে হচ্ছে।
ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাপারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ বলেন, “কিয়েভের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠকের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো। কিন্তু ওয়াশিংটনের নির্দেশে ইউক্রেন দূরে চলে যাচ্ছে।”
লাভরভ বলেন, “আমরা দ্বিতীয় দফার আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু ইউক্রেনীয় পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে সময়ক্ষেপণ করছে।”
এছাড়া ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভের মতো লাভরভও বলেন, “রাশিয়ার প্রতিনিধিদল বুধবার সন্ধ্যায় আলোচনার স্থানে ইউক্রেনের আলোচকদের জন্য অপেক্ষা করবে।”
এর আগে, রুশ প্রেসিডেন্টের সহযোগী ভ্লাদিমির মেডিনস্কি ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় প্রতিনিধি দলের প্রধান থাকবেন বলে নিশ্চিত করেন পেশকভ।
এদিকে ইউক্রেনের দ্বিতীয় জনবহুল শহর খারকিভে রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত ২১ জন নিহত এবং ১২২ জন আহত হয়েছেন। শহরটির মেয়রের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের খারসন শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
খারসনের স্থানীয় কাউন্সিলের এক সদস্য বিবিসিকে বলেন, “শহরটিতে লড়াইয়ে ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।”
এছাড়া খারসনে আড়াই লাখ মানুষের বসবাস। শহরটির মেয়র কেন্দ্রীয় সরকার ও মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন। খাদ্য, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করার এবং আহত ব্যক্তিদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনের আরও কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া সেনাবাহিনী। বর্তমানে রাজধানী কিয়েভ দখলের চেষ্টায় আছেন রুশ সেনারা।
অন্যদিকে মঙ্গলবার (১ মার্চ) দীর্ঘ ৪০ মাইল অস্ত্রযানের বহর নিয়ে তারা কিয়েভের আশপাশে ঘুরছে।