করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক ফাইজার। ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলা এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলা বলেন, “নতুন ধরন ওমিক্রন-এর বিরুদ্ধে বর্তমান ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর তা পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে। ফলাফলে ভ্যাকসিন কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হবে বলে আশা করছি।“
সিইও বলেন, “বিদ্যমান ডোজগুলো কম কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। যদি তাই হয়, তবে আমাদের একটি নতুন ভ্যাকসিন তৈরি করতে হবে।”
ওমিক্রম-প্রতিরোধে ভ্যাকসিন কার্যকারিতা পরীক্ষার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়ে সিইও আরও বলেন, “শুক্রবার আমরা প্রথম ডিএনএ টেমপ্লেট তৈরি করেছি। যা একটি নতুন ভ্যাকসিনের বিকাশ প্রক্রিয়ার প্রথম সম্ভাব্য পরিবর্তন। ফাইজারের নতুন ‘অ্যান্টিভাইরাল পিল’ ওমিক্রনসহ করোনাভাইরাসের সব ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকরী হবে।“
সিইও জানান, নতুন সংক্রমিত ও উচ্চঝুঁকির রোগীদের উপসর্গ শুরু হওয়ার তিন দিনের মধ্যে ফাইজারের “অ্যান্টিভাইরাল পিল” দেওয়া হলে, তা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা মৃত্যু প্রায় ৯০% কমাতে সক্ষম।
এছাড়াও বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চলমান ফাইজারের ভ্যাকসিনটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে “খুবই কার্যকর” বলে মন্তব্য করেন বোরলা।
বোরলা বলেন, “২০২২ সালের মধ্যে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ৪০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হবে।”
শুধু তাই নয়, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশার বাণী দিয়েছে আরেক ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন। প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর একটি ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।‘
মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক মডার্নাও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির ঘোষণা দিয়েছে।
ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনটি “অত্যন্ত বিপজ্জনক” বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের ১৩টি দেশে নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
