পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফের অন্তত ৫০ জন মন্ত্রীর কোন ‘খোঁজ’ পাওয়া যাচ্ছে না। তাদেরকে জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছে না। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মন্ত্রীরা রয়েছেন।
সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
পাকিস্তানের সংসদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের সময় বেশি দিন নেই। দুই দিন পর ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে অনাস্থা ভোট। বিরোধীরা ইমরান খানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে দলের ভেতর অন্যরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ইমরান খানের দলের প্রায় ৫০ জন কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মন্ত্রীকে জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছে না। এদের মধ্যে ২৫ জন কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক উপদেষ্টা এবং বিশেষ সহকারী রয়েছেন। এছাড়া চার জন রাজ্যমন্ত্রী, চার জন উপদেষ্টা ও ১৯ জন বিশেষ সহকারী রয়েছেন।
এর আগে ৮ মার্চ বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) আইনপ্রণেতারা ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন।
শুক্রবার শুরু হওয়া অধিবেশনে এ বিষয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু এ সংক্রান্ত অধিবেশক ২৮ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে হলে ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ জন আইনপ্রণেতার সর্মথন পেতে হবে। কিন্তু ইমরানের দলের আসন সংখ্যা ১৫৫ এবং বিরোধীদলগুলোর আসন সংখ্যা ১৬৩। বিরোধীদের ঠেকাতে স্বাভাবিকভাবেই জোটের আইনপ্রণেতাদের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে ইমরানকে।