রেকর্ড গতিতে পুরো বিশ্বে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এনডিটিভি জানায়, দেশীয় মুদ্রার দরপতন রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংগুলোর নানা পদক্ষেপের কারণেই এমন হচ্ছে।
ডলারের দর বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীর ছোট-বড় সব অর্থনীতির দেশই নিজেদের মুদ্রার দরপতন থামাতে চাইছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে চেষ্টা করছে।
এই প্রচেষ্টার ফলে বৈশ্বিক রিজার্ভ এ বছর ৭.৮ শতাংশ কমে ১২ ট্রিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ব্লুমবার্গ বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের এই তথ্য প্রকাশ করেছে। তারা ২০০৩ সাল থেকেই এই তথ্য সংগ্রহ করে। তাদের হিসাবে এখন পর্যন্ত এটিই বৈশ্বিক রিজার্ভের সর্বোচ্চ পতন। মার্কিন ডলারের হিসাবে যার পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন।
করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ডলারের মূল্য বেড়ে গেছে অত্যধিক। ফলে ডলারের তুলনায় অন্যান্য সকল মুদ্রার দরপতন অনিবার্য। তবে মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা রুখতে কেন্দ্রীয় ব্যংকগুলো রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। এ কারণে কমছে প্রতিটি দেশের রিজার্ভ।
পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান গত সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার বাজারে ছেড়েছে। ১৯৯৮ সালের পর এবারই প্রথম ইয়েনের দরপতন রোধে ডলার বিক্রি করছে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ভারতের রিজার্ভ ৯৬ বিলিয়ন ডলার কমে ৫৩৮ বিলিয়নে নেমে এসেছে। তবে এই পরিমাণ মুদ্রা তাদের ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যতেষ্ট।
তবে পাকিস্তানের রিজার্ভ এবছর ৪২ শতাংশ কমে ১৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এই পরিমাণ মুদ্রা তাদের ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্যও যতেষ্ট নয়।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, চীন ও থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের হাল জানা যাবে আগামী শুক্রবার (১৪ অক্টোবর)।
মুদ্রা বিনিময় হার ঠিক রাখার উদ্দেশ্যে বাজার থেকে অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা কিনে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বৃদ্ধি পায় দেশের রিজার্ভ। পরে কোনো সংকট সৃষ্টি হলে মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা রুখতে সেই রিজার্ভ থেকে মুদ্রা বিক্রি করে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আপনার মতামত লিখুন :